ট্রেনে আবার যাত্রীদের সফরের প্রবণতা বাড়ছে এবং সেই বৃদ্ধির প্রতিফলন ঘটছে রেলের ভাঁড়ারে। ফাইল চিত্র।
করোনা নিঃশেষে বিদায় না-নিলেও সারা দেশে টিকাকরণের দরুন সংক্রমণের আশঙ্কা অনেকটাই কমেছে। রেল মন্ত্রকের খবর, ট্রেনে আবার যাত্রীদের সফরের প্রবণতা বাড়ছে এবং সেই বৃদ্ধির প্রতিফলন ঘটছে রেলের ভাঁড়ারে। বিগত আর্থিক বছরের তুলনায় যাত্রী-ভাড়া বাবদ রেলের আয় ৭৩ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। তবে ওই আয় বৃদ্ধি এখনও প্রাক্-অতিমারি পর্বের তুলনায় কম বলেই রেল সূত্রে জানা গিয়েছে।
রেলকর্তারা জানাচ্ছেন, বিগত অর্থবর্ষে ট্রেন চলাচল শুরু হলেও সংক্রমণের আশঙ্কায় ট্রেনে যাতায়াত সে-ভাবে বাড়েনি। সংক্রমণ-ভীতি যত কমছে, ট্রেনযাত্রার আগ্রহ বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। সেই ক্রমবর্ধমান আগ্রহের সূত্রে অর্থবর্ষের শেষে ভাড়া বাবদ আয় আরও বাড়বে বলেই রেলের আশা। চলতি অর্থবর্ষে যাত্রী-সংখ্যা ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় অর্থবর্ষের শেষ পর্যন্ত যাত্রী ভাড়া খাতে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ৬৪ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। আগামী আর্থিক বছরে ওই খাতে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ৭০ হাজার কোটি টাকা।
রেল সূত্রের খবর, চলতি আর্থিক বছরে এপ্রিল থেকে জানুয়ারির মধ্যে যাত্রী-ভাড়া খাতে তাদের আয় হয়েছে ৫৪,৭৩৩ কোটি টাকা। ওই একই সময়ে বিগত অর্থ বছরে আয় হয়েছিল ৩১,৬৩৪ কোটি। অতিমারি পর্বের ওই পরিসংখ্যানের তুলনায় রেলের আয় চলতি অর্থবর্ষে ৭৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও করোনাকালের মধ্যে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে প্রায় ৫৬ হাজার কোটি টাকা আয় হয়েছিল। তার আগের অর্থবর্ষে আয়ের অঙ্ক ছিল ৫১ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি।
রেলে টিকিটের চাহিদা এবং যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় আয় বাড়বে বলে মনে করছেন রেলকর্তারা। তবে রেল সূত্রের খবর, সংরক্ষিত শ্রেণির তুলনায় অসংরক্ষিত শ্রেণিতে যাত্রী অনেক বেশি বাড়ছে।
বিগত অর্থ বছরে এপ্রিল থেকে জানুয়ারির মধ্যে অসংরক্ষিত শ্রেণিতে যাত্রী-সংখ্যা ছিল ১৯৭ কোটির কাছাকাছি। এ বার ওই সংখ্যা ইতিমধ্যেই ৪৫০ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে। যাত্রী বৃদ্ধির এই প্রবণতা থেকেই আয় ধাপে ধাপে বাড়বে বলে আশা করছেন রেলকর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy