দেশে তৈরি ডর্নিয়ের বিমানের সঙ্গে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ও কিরেন রিজিজু। পাসিঘাটে মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র।
দেশে তৈরি প্রথম যাত্রিবাহী বিমানের যাত্রা শুরু হল মঙ্গলবার। কেন্দ্রীয় বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ও কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজুকে যাত্রী হিসেবে নিয়ে ডিব্রুগড়ের মোহনপুর বিমানবন্দর থেকে আজ অ্যালায়েন্স এয়ারের ডর্নিয়ের ২২৮ বিমান অরুণাচলের পাসিঘাটে পৌঁছয়।
মঙ্গলবার অ্যালায়েন্সের ডিব্রুগড়-লীলাবাড়ি-পাসিঘাট-গুয়াহাটি উড়ান আনুষ্ঠানিক ভাবে চালু হলেও নিয়মিত উড়ান চালু হবে ১৮ এপ্রিল থেকে। উল্লেখ্য, হিন্দুস্তান এরোনটিক্স লিমিটেড এই প্রথম ভারতে যাত্রিবাহী ডর্নিয়ের বিমান তৈরি করেছে। সিন্ধিয়া বলেন, “আত্মনির্ভর ভারতের ক্ষেত্রে আজ এক ঐতিহাসিক দিন।” অ্যালায়ান্সের সঙ্গে দুটি ১৭ আসন বিশিষ্ট ডর্নিয়ার ডিও-২২৮ বিমান লিজ়ে দেওয়ার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে হিন্দুস্তান এরোনটিক্স লিমিটেড। অ্যালায়ান্স এয়ার জানায়, উড়ান প্রকল্পের অধীনে উজানি অসমের ডিব্রুগড় থেকে উত্তর-পূর্বের পাঁচটি শহরে বিমান পরিষেবা চালু করতে চলছে। সিন্ধিয়া জানান, আগামী ১২-১৫ দিনে ডিব্রুগড়-তেজু ও ডিব্রুগড়-জ়িরোর মধ্যেও উড়ান চালু হবে। এর পর ডিব্রুগড় থেকে টুটিং, মেচুকা ও বিজয়নগর পর্যন্ত বিমান চালানো হবে। ৬৫০ কোটি টাকার হলঙ্গি বিমানবন্দর শীঘ্রই চালু হবে। অরুণাচলের বিমান যোগাযোগ পরিকাঠামো ও ‘অ্যাডভান্সড ল্যান্ডিং গ্রাউন্ডের’ উন্নতিতে ২২৭ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। উত্তর-পূর্বের ১৮টি এয়ারস্ট্রিপ ও হেলিপোর্ট উন্নয়নে বরাদ্দ হয়েছে ১৮২ কোটি টাকা। তিনি বলেন, “এয়ার টার্বাইন জ্বালানিতে ২০-২৫ শতাংশ ভ্যাট লাগত অরুণাচলে। আমার অনুরোধে মুখ্যমন্ত্রী তা ১ শতাংশে নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার জন্য ধন্যবাদ।”
পাশাপাশি, মঙ্গলবার অসমের লখিমপুরে লীলাবাড়ি বিমানবন্দরে রেড বার্ড ফ্লাইট অ্যাকাডেমির উদ্বোধন হয়। এখানে বাণিজ্যিক উড়ানের পাইলটদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার তরফে জানানো হয়, দেশে ভাল পাইলট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র না থাকায় দেশের পাইলটেরা আমেরিকা বা নিউজ়িল্যান্ডে প্রশিক্ষণ নিতে যান। এখন আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পের অধীনে অসমেই পাইলটদের প্রশিক্ষণ হবে। ব্যবহার করা হবে বোয়িং ও এয়ারবাসের মতো উন্নত প্রযুক্তি থাকা প্রশিক্ষণ বিমান।
প্রথম ব্যাচে প্রশিক্ষণ শুরু হচ্ছে ২০ জন পাইলটের। প্রতি জনকে ২০০ ঘণ্টার ফ্লাইট ট্রেনিং দেওয়া হবে। এয়ারপোর্ট অধিকর্তা এইচ কে শিন্ডে জানান, প্রতি বছর এই অ্যাকাডেমি থেকে ২০০ জন শিক্ষানবিশ পাইলটকে বাণিজ্যিক উড়ান চালানোর লাইসেন্স দেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy