পেনশনের দাবি-আন্দোলন ছড়াচ্ছে রাজ্যে রাজ্যে। ফাইল চিত্র।
ইঙ্গিত মিলেছিল গত ১৭ সেপ্টেম্বর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিনে তাঁর রাজ্য গুজরাতের বিস্তীর্ণ অঞ্চল স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল শিক্ষক এবং সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলনে। দাবি ছিল, পুরনো পেনশন প্রকল্প ফিরিয়ে আনার।
বিজেপি শাসিত ভোটমুখী রাজ্য হিমাচল প্রদেশেও ইতিমধ্যে একই দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়েছে। কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি-সহ বিভিন্ন বিরোধী দল প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, ক্ষমতায় এলে বাতিল করা হবে নয়া পেনশন প্রকল্প। বস্তুত, গত অগস্ট থেকেই পুরনো পেনশন প্রকল্পের দাবিতে ওই রাজ্যে সরকারি কর্মী ও শিক্ষকদের একাংশের আন্দোলন ধীরে ধীরে মাথা চাড়া দিচ্ছে, বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে যার ‘ফল’ ভুগতে হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।
মোদী সরকারের পেনশন নীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। ওই নীতি অনুযায়ী, অবসরের পরে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের পেনশন কত হবে, তা ‘ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম’ মেনে স্থির করা হয়। এই পদ্ধতিতে পেনশন তহবিলে প্রতি মাসে জমা অর্থ শেয়ার বাজারে লগ্নি করা হয়। তার থেকে যে আয় হয়, সেটার উপরেই পেনশন নির্ভরশীল। কিন্তু এই নয়া ব্যবস্থার বিরোধী সরকারি কর্মীদের একাংশ এবং বিরোধী দলগুলি। তারা চায়, পুরনো নিশ্চিত পেনশনের বন্দোবস্ত।
নয়া পেনশন নীতি অনুযায়ী, ২০০৪ সালের ১ জানুয়ারি বা তার পর চাকরি শুরু করেছেন, তাঁরা নয়া পেনশন পদ্ধতির আওতায় পড়েন। তবে কোনও রাজ্যে ন্যাশনাল পেনশন স্কিম চালু করা হবে কি না, সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়। সম্প্রতি গুজরাত সরকার একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করে জানায়, ২০০৫ থেকে যাঁরা সরকারি চাকরি বা শিক্ষকতায় যোগ দিয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে নয়া পেনশন নীতি প্রযোজ্য হবে। এর পরেই আন্দোলন ছড়িয়েছে ওই রাজ্যে। আগামী কয়েক সপ্তাহে তার তীব্রতা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy