Advertisement
E-Paper

জিন বদলানো সর্ষের চাষ শুরু রবিশস্যের পরবর্তী মরসুম থেকেই, সিদ্ধান্ত মোদী সরকারের

গত সপ্তাহে জিন প্রযুক্তিবিদ্যা নিয়ামক সংস্থা জিইএসির তরফে জানানো হয়েছিল, প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষার পরে বাণিজ্যিক ভাবে জিএম সর্ষে ডিএমএইচ-১১ চাষের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

চলতি রবি মরসুমেই শুরু জন বদলানো সর্ষের চাষ।

চলতি রবি মরসুমেই শুরু জন বদলানো সর্ষের চাষ। ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২২ ১৫:৩১
Share
Save

পরবর্তী রবিশস্য চাষের মরসুম থেকেই পরীক্ষামূলক ভাবে জিন বদলানো সর্ষে (জেনেটিক্যালি মডিফায়েড মাস্টার্ড বা জিএম মাস্টার্ড)-র বাণিজ্যিক চাষের ছাড়পত্র দেওয়া হবে। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের অধীনস্থ সংস্থা জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাপ্রাইজ়াল কমিটি (জিইএসি)-র একটি সূত্রে এ কথা জানানো হয়েছে।

গত সপ্তাহে জিন প্রযুক্তিবিদ্যা নিয়ামক সংস্থা জিইএসির তরফে জানানো হয়েছিল, প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষার পরে বিশেষজ্ঞদের মত নিয়ে বাণিজ্যিক ভাবে জিএম সর্ষে ডিএমএইচ-১১ চাষের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় কৃষি গবেষণা পরিষদ (ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ বা আইসিএআর)-এর সুপারিশের ভিত্তিতেই এই ছাড়পত্র বলে জানিয়েছিল জিইএসি।

রাজস্থানের ভরতপুরে আইসিএআর-এর গবেষণা কেন্দ্রে দীর্ঘ পরীক্ষা ও গবেষণার পরেই পরীক্ষামূলক ভাবে ডিএমএইচ-১১-র বাণিজ্যিক চাষের ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। আইসিএআর-এর রেপসিড এবং সর্ষে চাষ সংক্রান্ত গবেষণা বিভাগের ডিরেক্টর পিকে রাই বলেছেন, ‘‘তিন বছর ধরে দু’টি পর্যায়ে ফলন ও তার মূল্যায়ন সংক্রান্ত গবেষণার পরেই এই সিদ্ধান্ত।”

সরকারি সূত্রের খবর, জিএম সর্ষে বিষয়ক জিইএসির বিশেষজ্ঞ কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য দীপক পেন্টাল। তারা দীর্ঘ পরীক্ষা ও গবেষণার পরে একটি বৈজ্ঞানিক ডসিয়ের প্রকাশ করেন, যা বাণিজ্যিক চাষে ছাড়পত্রের পথ প্রশস্ত করেছে। কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণধীন সংস্থা আইসিএআর-এর গবেষকেরা দেখেছেন, এই সর্ষের ফুল পরাগমিলনে সহায়তাকারী মৌমাছি ও অন্য পতঙ্গের জীবনচক্রে ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে না। তা ছাড়া, আখেরে জিন বদলানো সর্ষে, চাষিদের সুবিধা করে দেয়। কারণ, এতে ফলন হয় বেশি। কীটনাশকের খরচও অনেকটা বেঁচে যায়।

যদিও কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছেন কৃষিবিজ্ঞানী এবং পরিবেশপ্রেমীদেরক একাংশ। তাঁদের মতে অতীতে ওড়িশায় জিন বদলানো বিটি বেগুন চাষে পরিবেশ দূষণের অভিযোগ উঠেছিল। প্রায় দু’দশক আগে পোকার আক্রমণ ঠেকাতে পঞ্জাবে জিন প্রযুক্তিবিদ্যার সাহায্যে তৈরি তুলোর চাষেও সাফল্য মেলেনি। তা ছাড়া গত কয়েক দশকে ইউরোপ-আমেরিকায় জিন বদলানো ভুট্টা, মটরশুঁটি, চাল, সয়াবিন খেলে স্তন্যপায়ী প্রাণী, প্রধানত ইঁদুরের শরীরের নানা পরিবর্তন ঘটেছে। জিন বদলানো সর্ষের তেলের ক্ষেত্রেও সেই আশঙ্কা রয়েছে বলে তাঁদের মত।

Genetic Engineering Mustard Environmental scientist agriculture Agricultural Ministry

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}