পূজা খেড়কর। —ফাইল চিত্র
তাঁকে নিয়ে বিতর্ক এবং অভিযোগ সীমাহীন। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন শিক্ষানবিশ আইএএস পূজা খেড়করকে তাঁর ভুয়ো পরিচয়পত্র, মেডিক্যাল যোগ্যতার পরীক্ষায় ভুয়ো তথ্য প্রদান এবং ক্ষমতার অপব্যবহার-সহ একাধিক অভিযোগে আইএএস পদ থেকে বরখাস্ত করেছিল ইউপিএসসি। বুধবার পূজা পাল্টা জানালেন, তাঁর চাকরি খাওয়ার ক্ষমতাই নেই ইউপিএসসির। পূজার যুক্তি, আমলা হওয়ার পরীক্ষার প্রশাসনিক সংস্থা হলেও এক বার আমলা হিসাবে নিযুক্ত হলে আর ইউপিএসসির কিছু করার থাকে না। সে ক্ষেত্রে তাাঁকে তাঁর আমলা পদ থেকে বরখাস্ত করার ক্ষমতাও তাদের হাতের বাইরে।
মহারাষ্ট্রের বিতর্কিত প্রাক্তন শিক্ষানবিশ আমলা পূজার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসার জন্য নিজেকে বিশেষ ভাবে সক্ষম দেখিয়েছিলেন। দুর্বল দৃষ্টিশক্তি এবং মানসিক প্রতিবন্ধী হওয়ার ভুয়ো নথিও দাখিল করে সংরক্ষণের সুবিধা নিয়েছিলেন। এই মর্মেই তাঁর নিয়োগ বাতিল করেছিল ইউপিএসসি। যার বিরোধিতা করে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পূজা। বুধবার সেই মামলার শুনানিতেই হাই কোর্টে স্বপক্ষে সওয়াল করেন পূজা। বলেন, আমলাদের নিয়োগ হয়ে যাওয়ার পরে তাঁদের বরখাস্ত করার ক্ষমতা রয়েছে একমাত্র কর্মী এবং প্রশিক্ষণ দফতরের। শুধুমাত্র তারাই ‘অল ইন্ডিয়া সার্ভিস অ্যাক্ট, ১৯৫৪’ এবং সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা ২০২২ ধারার শিক্ষানবিশ আইনের প্রয়োগ করে এই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। অর্থাৎ তাঁকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্তটি বৈধ নয়।
গত ৩১ জুলাই পূজার নিয়োগ বাতিল করেছিল ইউপিএসসি। একই সঙ্গে তারা জানিয়েছিল, ভবিষ্যতে আর কখনও এই ধরনের সরকারি পরীক্ষায় তিনি বসতে পারবেন না। বাছাই পর্বেও যোগদান করতে পারবেন না। এর পাশাপাশি পূজার বিরুদ্ধে প্রতারণা এবং জালিয়াতির ফৌজদারি মামলাও করেছিল ইউপিএসসি। পূজা তাঁকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাই কোর্টে আরও যুক্তি দিয়েছেন। বুধবার তিনি জানিয়েছেন, তিনি তাঁর পরিচয়পত্রের নাম বদল করেননি। আর তাঁর পরিচয়ের বায়োমেট্রিক তথ্য ইউপিএসসিই সংগ্রহ করেছিল। যাচাই করেছিল বহু বার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy