আরজি কর-কাণ্ডে বিক্ষোভ। —ফাইল ছবি।
আর জি কর-কাণ্ডের জল কোন দিকে গড়ায়, তা নজর রাখছেন বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। রাজ্যে যে ভাবে প্রতিবাদ-আন্দোলন চালাচ্ছে বিজেপি, তা যাতে অভিমুখ না হারায় সে কারণে পশ্চিমবঙ্গকে সদস্য সংগ্রহ অভিযানের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। দলকে এই মুহূর্তে আর জি কর কাণ্ডের বিরুদ্ধে আন্দোলনে মনোনিবেশ করতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যবাসীকে যে ভাবে উৎসবে ফিরতে বলেছেন, তা তাদের হাতে নতুন হাতিয়ার তুলে দিয়েছে বলেই মনে করছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
গত সপ্তাহে গোটা দেশে সদস্য সংগ্রহ অভিযানের সূচনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিজেপির এক কেন্দ্রীয় নেতার কথায়, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে দলীয় পর্যায়ে সদস্য সংগ্রহ অভিযান চালানো হচ্ছে না। পরিবর্তে কর্মীদের আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে রাস্তায় নামতে বলা হয়েছে।’’
কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মনে করছেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে সদস্য সংগ্রহের পরিবর্তে মাঠে নেমে আন্দোলন করা অনেক বেশি ইতিবাচক পদক্ষেপ হবে। তা ছাড়া, এই মুহূর্তে বাড়ি বাড়ি সদস্য সংগ্রহ করতে গেলে হিতে বিপরীত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ শাসক দলের বিরুদ্ধে সামগ্রিক ভাবে ক্ষোভ উগরে দিলেও, কোথাও বিরোধী দলগুলিকে কোনও রাজনৈতিক ফায়দা নিতে দেননি আন্দোলনকারীরা। উল্টে বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে ‘গো-ব্যাক’ শুনতে হয়েছে। সেই কারণে নাগরিক কর্মসূচিতে বিজেপি নেতারা কোনও ভাবেই দলীয় পরিচিতি নিয়ে অংশ নিন, তা চাইছেন না কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
কেন্দ্রীয় ওই নেতার কথায়, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের মানুষের ওই ক্ষোভ সামগ্রিক ভাবে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে। মানুষ নিজে থেকে পথে নেমেছেন। এতে দলীয় পরিচয় নিয়ে অংশ নিতে গেলে উল্টে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।’’ তবে আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে দলীয় বিক্ষোভ-আন্দোলন, নবান্ন বা লালবাজার ঘেরাও অভিযান চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যা দলীয় ব্যানারের তলায় করতে বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy