সোমবার সকালে রাস্তার গর্ত বোজাইয়ের কাজে ব্যস্ত ট্রাফিক পুলিশ।
হাতে বেলচা, কোদাল নিয়ে রাস্তার গর্ত বোজাচ্ছিলেন তাঁরা। সকালে রাস্তায় বেরিয়ে এমন ‘বিরল’ দৃশ্য দেখে হতচকিত হয়ে গিয়েছিলেন পথচলতি মানুষ। অনভ্যস্ত চোখ আটকে গিয়েছিল বেলচা, কোদাল হাতে ওই মানুষগুলির দিকে। না, রাস্তা সারাইয়ের কর্মী নন তাঁরা। ট্র্যাফিক পুলিশ। হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন। ওঁরা ট্রাফিক পুলিশের কর্মী।
বাঁশি মুখে রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে যাঁদের হাতের ইশারায় যানবাহন সামলাতে দেখা যেত সেই ট্র্যাফিক পুলিশকে রাস্তা সারাইয়ের কাজ করতে দেখে স্তম্ভিত ঠাণেবাসীরা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যখন রাস্তা সারাইয়ে ‘ব্যর্থ’, জনস্বার্থে ট্র্যাফিক পুলিশের কর্মীরা নিজেরাই হাতে তুলে নেন কোদাল, বেলচা। সোমবার এমনই অনভ্যস্ত দৃশ্য দেখা গেল ঠাণের ঘোড়বন্দর রোড এবং ইস্টার্ন এক্সপ্রেসওয়েতে।
বেপরোয়া গাড়ি চালানোর জন্য যেমন দুর্ঘটনা ঘটে, তেমনই আবার খারাপ রাস্তাও অনেক ক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় জন্য দায়ী। দুর্ঘটনা রুখতে এবং সাধারণ মানুষকে এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতেই নিজেরা রাস্তার গর্ত বোজাইয়ের কাজে লেগে পড়েন ট্র্যাফিক পুলিশের কর্মীরা। শুধু তাই-ই নয়, খারাপ রাস্তার জন্য বিপুল যানজট হচ্ছিল, যা সামলাতে হিমসিম খেতে হচ্ছিল ট্র্যাফিক পুলিশকে। সময়মতো গন্তব্যে যেতে পারছিলেন না অনেকেই। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জংশন যেমন, মাজিওয়াড়া, কাপুরবাওড়ি, কোপরির মতো এলাকা যানজটে নাজেহাল হয়ে পড়ে রবিবার।
রাস্তার গর্ত বোজাইয়ের কাজ প্রসঙ্গে ট্র্যাফিক পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “রাস্তার গর্ত বোজাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিলেও গত এক সপ্তাহে কোনও কাজ হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই আমরা এই কাজ নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছি। যাতে অফিসযাত্রী, স্কুলপড়ুয়াদের নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে কোনও অসুবিধা না হয়। তা ছাড়া দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে সেই জন্যও এই কাজ।”
ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অব ইন্ডিয়া-র প্রোজেক্ট ডিরেক্টর এম আতারদে বলেন, “যে সংস্থাকে কাজ দেওয়া হয়েছে তারা পাঁচটি দল গঠন করেছে রাস্তা সারাইয়ের জন্য। যদি সে কাজ ট্র্যাফিক পুলিশকে করতে হয়, তা হলে অবশ্যই এ বিষয়ে তদন্ত করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy