য়ে পথে তৈরি হয়েছে করতারপুর করিডর। ছবি : ফাইল চিত্র
করতারপুর করিডর নিয়ে ভারত-পাকিস্তান বৈঠকেও উঠে এল জঙ্গি-প্রসঙ্গ।
পঞ্জাব সীমান্তে ভারতের ডেরা বাবা নানক থেকে পাকিস্তানের করতারপুর সাহিব গুরুদ্বারে পুণ্যার্থীদের ভিসা ছাড়াই যাতায়াতের জন্য এই করিডর তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছে দু’দেশ। এ দিন আটারি-ওয়াঘা সীমান্তে পাকিস্তানি এলাকায় আলোচনায় বসেন দু’দেশের প্রতিনিধিরা। ভারতের তরফে জানানো হয়, পাকিস্তানের বেশ কিছু গোষ্ঠী এই করিডরকে ব্যবহার করে ভারত-বিরোধী কাজকর্ম চালাতে পারে। পুণ্যার্থীদের ভাবাবেগ নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে পারে তারা। বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, এ ক্ষেত্রে এমন কোনও কাজকর্ম বরদাস্ত করা হবে না বলে জানিয়েছে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের তরফে করতারপুর করিডর সংক্রান্ত কমিটিতে খলিস্তানি নেতা গোপাল সিংহ চাওলাকে রাখা হয়েছিল। লস্কর নেতা হাফিজ সইদের ঘনিষ্ঠ চাওলাকে নিয়ে প্রশ্ন তোলে ভারত। তার জেরে কমিটি ভেঙে ফের নয়া কমিটি গড়েছে ইসলামাবাদ। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের মতে, এটি নিঃসন্দেহে সদর্থক পদক্ষেপ।
বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, প্রস্তাবিত করিডর দিয়ে ভারতীয় পাসপোর্টধারী এবং প্রবাসী ভারতীয় কার্ডধারীরা বিনা ভিসায় করতারপুরে যেতে পারবেন। প্রতি দিন ৫ হাজার পুণ্যার্থীকে যেতে দিতে রাজি হয়েছে পাকিস্তান। পুণ্যার্থীরা পায়ে হেঁটেও যেতে পারবেন।
সীমান্তের কাছে ৪ লেনের সড়ক তৈরির কাজও দ্রুত এগোচ্ছে বলে জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। সীমান্তের ‘পয়েন্ট জিরো’-তে কী ভাবে দু’তরফের সংযোগ ঘটানো হবে তা নিয়ে মতবিরোধ ছিল। রবী নদীর খাঁড়ির উপরে একটি সেতু তৈরি করছে ভারত। কিন্তু পাকিস্তান প্রথমে তাদের এলাকায় ওই খাঁড়ির উপরে একটি কজওয়ে বা মাটি দিয়ে বাঁধানো রাস্তা তৈরির প্রস্তাব দেয়। এ দিনের বৈঠকে ভারতের তরফে জানানো হয়, কজওয়ে তৈরি করলে ভবিষ্যতে বন্যার সম্ভাবনা আছে। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান সেতু তৈরির প্রস্তাবে ‘নীতিগত’ সম্মতি দিয়েছে। মন্ত্রকের বক্তব্য, ‘‘পাকিস্তানের তরফে পরিকাঠামো তৈরিতে কিছুটা সময় লাগবে। কিন্তু গুরু নানকের ৫৫০তম জন্মবার্ষিকীর ঐতিহাসিক তাৎপর্য রয়েছে। তাই নভেম্বরে এই করিডর চালু করা প্রয়োজন। সে জন্য যত ক্ষণ না পাক এলাকায় সেতু তৈরি হচ্ছে তত ক্ষণ আমাদের তরফে কিছু অন্তর্বর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’’
পুলওয়ামা-বালাকোট পর্বের পরে কেবল করতারপুর প্রসঙ্গেই আনুষ্ঠানিক আলোচনা হচ্ছে ভারত-পাকিস্তানের। করিডর নিয়ে আজ দ্বিতীয় বার বৈঠকে বসলেন দু’দেশের প্রতিনিধিরা। কূটনীতিকদের মতে, অন্য কোনও মঞ্চে এখন পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা নেই। তাই করতারপুর করিডর নিয়ে আলোচনাতেও জঙ্গি-প্রসঙ্গ তুলে ফের এক বার পাকিস্তানকে সন্ত্রাস-দমনের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে দিল্লি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy