প্রতীকী ছবি।
ভূমিপুত্র না হয়েও, কেবল জম্মুতে এক বছর বাস করলেই সেই বাসিন্দাদের নামে আবাসিক শংসাপত্র জারির নির্দেশ দিল প্রশাসন। যার ভিত্তিতে ভোটার তালিকায় নাম লেখাতে পারবেন শংসাপত্র পাওয়া ব্যক্তিরা। বর্তমানে জম্মু-কাশ্মীরে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ চলছে। তাই যোগ্য কোনও ব্যক্তি যাতে বাদ না পড়েন, তাই ন্যূনতম এক বছর বসবাসকারীকে শংসাপত্র দেওয়ার জন্য জেলার সমস্ত তহসিলদারদের নির্দেশ দিয়েছেন জম্মুর ডেপুটি কমিশনার অভনি লাভাসা। বিরোধীরা অবশ্য সরকারের ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরব হয়েছেন। তাঁদের যুক্তি, নির্বাচনে হারের ভয়ে অন্তত ২৫ লক্ষ বাইরের ভোটারকে ভোটাধিকার দেওয়ার ষড়যন্ত্র করেছে বিজেপি। একটি সংবাদমাধ্যমের দাবি, রাতে জম্মুর ডেপুটি কমিশনার ওই নির্দেশিকা প্রত্যাহার করেছেন।
বছর তিনেক আগে বিশেষ মর্যাদা হারায় জম্মু-কাশ্মীর। তার আগে পর্যন্ত সেখানে বসবাসকারী পাকিস্তান থেকে আসা উদ্বাস্তু, বাল্মীকি ও গোর্খা সমাজের লোকেরা ভূমিপুত্র নয় ওই যুক্তিতে ভোট দিতে পারতেন না। নির্বাচন কমিশনের মতে, বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার হওয়ায় ওই নাগরিকদের অন্তর্ভুক্তিতে আর কোনও সমস্যা নেই। তাই নতুন করে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজে হাত দেওয়া হয়েছে। গত লোকসভা নির্বাচনের আগে শেষবার জম্মু-কাশ্মীরে ভোটার তালিকা সংশোধন হয়েছিল। কমিশনের অনুমান, বর্তমানে যে সংশোধিত তালিকা তৈরি হচ্ছে, তাতে প্রায় ২৫ লক্ষ অতিরিক্ত ভোটারের নাম যুক্ত হবে।
গত কাল লাভাসার জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যাঁরা এক বছরের বেশি সময় জম্মুতে রয়েছেন, তাঁদের নির্দিষ্ট পরিচয়পত্রের ভিত্তিতে আবাসিক শংসাপত্র জারি করবেন তহসিলদারেরা। যে শংসাপত্রের ভিত্তিতে নির্বাচনী তালিকায় নাম লেখাতে পারবেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি। ওই নিয়ম অনুযায়ী, কোনও সেনা বা আধাসেনার জওয়ান যদি এক বছরের বেশি সময় উপত্যকায় কাজের সূত্রে মোতায়েন থাকেন, তা হলেও তিনিও ভোট দিতে পারবেন। তবে যাঁদের নাম জম্মু-কাশ্মীরের ভোটার তালিকায় থাকবে, তাঁদের অতীতে অন্য রাজ্যে জারি হওয়া ভোটার কার্ড বাতিল হয়ে যাবে। ভোটার তালিকায় নাম সংযোজন নিয়ে বিরোধীদের বক্তব্য, উপত্যকায় তো বটেই, হিন্দু অধ্যুষিত জম্মুতে বিজেপির উপর মানুষ ক্ষুব্ধ। এখন নির্বাচন হলে পদ্ম শিবিরের হার নিশ্চিত। ন্যাশনাল কনফারেন্সের কথায়, ‘‘হারের ভয়ে ২৫ লক্ষ ভিন্ রাজ্যের বাসিন্দাকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে চায় বিজেপি। যাঁদের ভোটে জেতার স্বপ্ন দেখছে তারা।’’ উপত্যকার আর এক দল পিডিপি ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে স্থানীয় পণ্ডিত, শিখ ও ডোগরা সমাজকে প্রতিবাদে পথে নামার আহ্বান জানিয়েছে।
যদিও জম্মু-কাশ্মীরের বিজেপি সভাপতি রবীন্দ্র রায়নার দাবি, যাঁরা জম্মু-কাশ্মীরে স্থায়ী ভাবে বাস করেও ভোট দেওয়ার সুযোগ পাননি, তাঁদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতেই প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy