Advertisement
০৫ মে ২০২৪
Kidnap

বাড়ির মালিককে অপহরণ করলেন ভাড়াটে, ৫০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে খুনের হুমকি, পরে গ্রেফতার

পুলিশ জানিয়েছে, পরিকল্পনা মতো দু’তিন দিন ধরে সতীশের বাড়ির সামনে রেকি করেন ভূপেন্দ্র এবং তাঁর এক পরিচিত যুবক রবীন্দ্র। শনিবার রাতে সতীশকে অপহরণের পরিকল্পনা করেন ভূপেন্দ্ররা।

অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত।

অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:১০
Share: Save:

বাড়ির মালিককেই অপহরণ করলেন তাঁর ভাড়াটে। ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানার ফরিদাবাদে। অভিযুক্তের নাম ভূপেন্দ্র। তাঁকে এবং তাঁর স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

অপহৃত বাড়ির মালিকের নাম সতীশ। তিনি একটি ব্যাঙ্কের ম্যানেজার। ফরিদাবাদের সেক্টর ৬২-তে সপরিবার থাকেন। সতীশের বাড়িতে চার মাস ভাড়া ছিলেন ভূপেন্দ্র। তাঁর কাজ চলে যাওয়ায় বাড়িমালিক সতীশকে অপহরণের পরিকল্পনা করেন। সতীশকে অপহরণ করে কয়েক লক্ষ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের ছক কষেন ভূপেন্দ্র এবং তাঁর স্ত্রী।

পুলিশ জানিয়েছে, পরিকল্পনা মতো দু’তিন দিন ধরে সতীশের বাড়ির সামনে রেকি করেন ভূপেন্দ্র এবং তাঁর এক পরিচিত যুবক রবীন্দ্র। শনিবার রাতে সতীশকে অপহরণের পরিকল্পনা করেন ভূপেন্দ্ররা। ওই দিন রাতে সতীশের বাড়িতে যান তিনি। সতীশ তখন তাঁর স্ত্রী এবং এক বন্ধুর সঙ্গে বাড়িতেই ছিলেন। ভূপেন্দ্র এবং তাঁর সহযোগী সতীশের মাথায় বন্দুক ঠেকান। সতীশের হাত-পা বাঁধেন। সতীশের বন্ধু অমিত বাধা দিতে গেলে ভূপেন্দ্র তাঁর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করেন। তার পর সতীশের স্ত্রী এবং বন্ধুকে একটি ঘরে আটকে রেখে সতীশের গাড়িতেই তাঁকে তোলেন।

তার পর সতীশকে নিয়ে তাঁরা হরিয়ানা থেকে হিমাচল প্রদেশের বিলাসপুর যান। সেখান থেকে আবার উত্তরপ্রদেশের মথুরায় নিয়ে যান। সতীশের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে গাড়ির তেলও ভরেন ভূপেন্দ্ররা। পুলিশ জানিয়েছে, হিমাচলে পৌঁছে সতীশের বাড়িতে ফোন করে ৫০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চান ভূপেন্দ্ররা। না হলে তাঁকে খুন করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। সতীশের পরিবার ৫ লক্ষ টাকা দিতে রাজি হয়। তখন তাদের বলা হয় সতীশের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে। কিন্তু সতীশের পরিবার জানায়, তাঁদের কাছে নগদ টাকা রয়েছে। এ কথা শুনে ভূপেন্দ্র সতীশের পরিবারকে ফোন করে এক লক্ষ টাকা অ্যাকাউন্টে পাঠাতে বলে বাকি টাকা নগদে নেওয়ার কথা জানান। কেলি বাইপাসের কাছে সেই টাকা দিতে হবে বলেও জানান ভূপেন্দ্র। ইতিমধ্যেই সতীশের পরিবার পুলিশকে বিষয়টি জানিয়ে রেখেছিল। পুলিশের একটি দল কেলি বাইপাসের কাছে অপেক্ষা করছিল। সতীশের গাড়ি নিয়ে ভূপেন্দ্র টাকা নিতে আসতেই তাঁকে এবং তাঁর স্ত্রীকে ধরে ফেলে পুলিশ। কিন্তু পালিয়ে যান তাঁদের সহযোগী রবীন্দ্র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kidnap Haryana
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE