বিধানসভায় শাসক দল ওয়াইএসআর কংগ্রেসের নেতাদের সঙ্গে তুমুল তর্কাতর্কি, বাক্-বিতণ্ডা। এর পরই বিধানসভা ছেড়ে বেরিয়ে এসে প্রকাশ্যে সাংবাদিকদের সামনে হাপুসনয়নে কেঁদে ফেললেন অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু। জানিয়ে দিলেন, ‘‘এর পর যেদিন মুখ্যমন্ত্রী হব, সেদিনই ঢুকব এই বিধানসভায়।’’
চন্দ্রবাবুর দাবি, ক্রমাগত তাঁর বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ চালিয়ে যাওয়া হয়েছে ভরা বিধানসভায়। তাঁর স্ত্রী ভুবনেশ্বরীকেও নিশানা করা হয়েছে বার বার। তাঁর কথায়, ‘‘গত দু’বছর আমাকে আক্রমণ, অপমান করা হচ্ছে। কিন্তু আমি চুপ থেকেছি। আমার স্ত্রী কোনও দিন রাজনীতিতে আসেননি। আজ তাঁকেও নিশানা করা হয়েছে। আমি বরাবর গর্বের সঙ্গে বেঁচেছি। আর এ সব সহ্য করতে পারছি না।’’
শুক্রবার বিধানসভায় তাঁকে কিছুই বলতে দেওয়া হয়নি বলেও দাবি করেছেন অন্ধ্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। স্পিকার তাম্মিনেনি সীতারাম তাঁর মাইকও বন্ধ করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন চন্দ্রবাবু। তিনি বলেন, ‘‘আমাকে কিছু বলতে দেওয়া হয়নি বলেই বেরিয়ে এসেছি।’’
যদিও চন্দ্রবাবুর অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ ওয়াইএসআর কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডি বলেন, ‘‘সবাই জানে, হতাশায় ভুগছেন চন্দ্রবাবু। মানুষ তাঁকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এমনকি নিজের কেন্দ্রেও পরাজয় হয়েছে তাঁর দলের।’’
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহে চিত্তোর জেলার পুরভোটে ধরাশায়ী হয়েছে চন্দ্রবাবুর দল টিডিপি (তেলুগু দেশম পার্টি)। কুপ্পাম পুরসভার ২৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৯টিতেই জিতেছে ওয়াইএসআর কংগ্রেস।
চন্দ্রবাবুকে ব্যক্তিগত আক্রমণ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জগন বলেন, ‘‘চন্দ্রবাবুই আমার পরিবার সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন। আমাদের তরফে ওঁর পরিবার নিয়ে একটাও কথা বলা হয়নি। বিধানসভার রেকর্ড দেখলেই তা বোঝা যাবে।’’