তেজস্বী যাদব। ছবি: পিটিআই ।
ডাক্তারির সর্বভারতীয় প্রবেশিকা নিটের প্রশ্নপত্র ফাঁসকাণ্ডে জড়িত রয়েছেন তেজস্বী যাদবের সহকারী। তেমনটাই অভিযোগ করেছিলেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয়কুমার সিংহ। শুক্রবার তারই পাল্টা হিসাবে মুখ খুললেন রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)-র নেতা তথা লালু-পুত্র তেজস্বী । তেজস্বীর দাবি, ‘কিংপিন’-এর থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা চলছে। আর সেই কারণেই তাঁর সহকারীর নাম এই ঘটনায় যুক্ত করা হচ্ছে।
২০২৪ সালে নিট নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে পরীক্ষায় বেনিয়ম এবং টাকার পরিবর্তে প্রশ্নফাঁসের। তা নিয়ে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় দাবি করেছিলেন, দুর্নীতিতে ধৃত ছাত্রের জন্য সরকারি বাংলোয় থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন তেজস্বীর সহকারী প্রীতম কুমার। দাবি, প্রীতম বিহার সড়ক নির্মাণ বিভাগ (আরসিডি)-এর এক কর্মীকে ফোন করেন। তাঁকে ফোন করে সিকন্দরপ্রসাদ যাদবেন্দুর জন্য একটি ঘর বুক করতে বলেন। সিকন্দর পেশায় এক জন ইঞ্জিনিয়ার। এই সিকন্দর অতীতে দাবি করেছিলেন, নিট দুর্নীতিতে জড়িত রয়েছেন এক জন ‘মন্ত্রী’। তবে সেই সব অভিযোগ মিথ্যা বলেই শুক্রবার জানিয়েছেন তেজস্বী।
তেজস্বীর কথায়, ‘‘বিহারের আর্থিক দুর্নীতি দমন শাখা (ইএইউ) আমার পিএ প্রীতম কুমারের বিরুদ্ধে কিছু বলেনি। শুধুমাত্র বিজয় সিংহ এই দাবিগুলি করছেন। আমি উপমুখ্যমন্ত্রীকে বলব প্রয়োজনে আমার সহকারীকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। তবে বোঝা যাচ্ছে, প্রকৃত ‘কিংপিন’কে রক্ষা করার জন্য নজর ঘোরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। বিজেপি নেতা সম্রাট চৌধরির সঙ্গে অভিযুক্ত অমিত আনন্দের একটি ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। যদি আমার পিএ দোষী সাব্যস্ত হয়, তবে তাকে গ্রেফতার করা উচিত। কিন্তু আমার নাম এই বিতর্কে জড়িয়ে কোনও লাভ হবে না।’’
পাশাপাশি তেজস্বীর দাবি, নিটকাণ্ডে প্রশ্নফাঁসের নেপথ্যে ‘মাস্টারমাইন্ড’ অমিতই। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলেও জোর দিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy