Advertisement
২৬ অক্টোবর ২০২৪
Delhi Incident

‘ক্ষমা করে দিয়ো’, জয়েন্টের ফল দেখার পরেই আটতলা থেকে ঝাঁপ কিশোরীর! চিঠিতে শুধু তিনটি বাক্য

নয়াদিল্লির জামিয়া নগর এলাকায় ১৭ বছরের এক কিশোরী শুক্রবার রাতে বহুতলের আটতলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সুইসাইড নোটে সে লিখে গিয়েছে তিনটি বাক্য।

জয়েন্টে ভাল ফল করতে না পেরে দিল্লিতে আত্মঘাতী ১৭ বছরের কিশোরী।

জয়েন্টে ভাল ফল করতে না পেরে দিল্লিতে আত্মঘাতী ১৭ বছরের কিশোরী। —প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২৪ ১৪:৩৪
Share: Save:

জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় ভাল ফল করতে না পেরে আত্মঘাতী ১৭ বছরের কিশোরী। আটতলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে সে। বাবা-মায়ের জন্য লিখে রেখে গিয়েছে সুইসাইড নোটও। সেখানেই আত্মহত্যার কারণ জানিয়েছে কিশোরী। ক্ষমা চেয়েছে সকলের কাছে।

নয়াদিল্লির জামিয়া নগর এলাকার ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই কিশোরী দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় পাশ করার পরে জয়েন্টের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার ইচ্ছা ছিল তার। কিন্তু প্রথম বার জয়েন্ট পরীক্ষায় ব্যর্থ হয় সে। ফল আশানুরূপ না হওয়ায় মানসিক অবসাদে ভুগছিল কিশোরী, অনুমান পুলিশের। আপাতত অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে পরিবারের সদস্য এবং বন্ধুবান্ধবের।

শুক্রবার নিজেদের বাড়ির আটতলা থেকে ঝাঁপ দেয় কিশোরী। পুলিশ গিয়ে তার দেহ উদ্ধার করে। তার ঘরেই পাওয়া যায় একটি সুইসাইড নোট। মা-বাবার উদ্দেশে সেই চিঠিতে তিনটি বাক্য লিখেছে কিশোরী— ‘‘আমাকে ক্ষমা করে দিয়ো। আমি পারলাম না। জয়েন্ট পরীক্ষায় পাশ করতে পারলাম না।’’

কিশোরীর বাবা-মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, জয়েন্টে ফল ভাল করতে না পারলে যে কোনও চরম সিদ্ধান্ত নিতে পারে কিশোরী, আগেই তার ইঙ্গিত মিলেছিল। পরীক্ষায় পাশ করতে না পারলে আত্মহত্যা করবে, মাকে জানিয়েছিল কিশোরী। কিন্তু সেই মুখের কথা যে এমন ভাবে সত্যি হয়ে যাবে, সত্যিই যে কন্যা আত্মহত্যা করতে পারে, ভাবতে পারেননি তার মা। বাড়িতে কিশোরীকে লেখাপড়ার জন্য, জয়েন্ট পরীক্ষায় ভাল ফলের জন্য কোনও রকম চাপ দেওয়া হচ্ছিল কি না, পুলিশ খতিয়ে দেখছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Delhi Delhi News Suicide Suicide Case
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE