কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরোধিতা করে নতুন করে আবেদনের সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। শিক্ষক নিয়োগে সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশের প্রতিনিধিত্ব যাতে কমে না যায় তার জন্যই ফের আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর।
এ যাবৎ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে সার্বিক আসনসংখ্যার ভিত্তিতে সংরক্ষণের নিয়ম মেনে নিয়োগ হত। কিন্তু গত বছর প্রথমে ইলাহাবাদ হাইকোর্ট ও পরে সুপ্রিম কোর্ট বিভাগ-ভিত্তিক সংরক্ষণের রায় দেয়। ওই নীতি মানলে প্রতিটি চতুর্থ খালি পদে এক জন ওবিসি, প্রতিটি সাতটি খালি পদে এক জন তফসিলি জাতি ও প্রতি চোদ্দোটি খালি পদে একজন তফসিলি জনজাতির শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে।
ওই নীতি সামনে আসতেই সরব হয় একাধিক পিছিয়ে পড়া সংগঠন ও রাজনৈতিক দল। শিক্ষাব্যবস্থায় পিছিয়ে পড়া অংশের প্রতিনিধিত্ব কমে যাবে, এই যুক্তিতে আজ সংসদে গাঁধীমূর্তির সামনে ও পরে রাজ্যসভায় সরব হয় এসপি। রাজ্যসভায় তাদের পাশে দাঁড়ায় বিএসপি ও তৃণমূল। বিরোধীদের পক্ষ থেকে একযোগে ওই নীতি বাতিলের দাবি ওঠে।
বাস্তবে ওই নীতি চালু হলে পিছিয়ে পড়া অংশের ভোট হারানোর ভয় রয়েছে সরকারের অভ্যন্তরেও। তাই তড়িঘড়ি ময়দানে নামেন জাভড়েকর। জানান, ‘‘বিভাগভিত্তিক সংরক্ষণ নীতির বিপক্ষে কেন্দ্রও। সেই কারণে হাইকোর্টের রায়ের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিল কেন্দ্র। ইউজিসি সে সময়ে নির্দেশিকা জারি করে দেশের সমস্ত সরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। সুপ্রিম কোর্ট সরকারের আবেদন খারিজ করে দেওয়ায় আমার নতুন করে আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’
সুপ্রিম কোর্টে সরকারের আবেদন খারিজ হলেও, ইউজিসি-র নিয়োগ সংক্রান্ত নির্দেশিকা বাতিল করা হয়নি বলে জানিয়েছেন জাভড়েকর। তাঁর মতে, শীর্ষ আদালতে বিষয়টির চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই নির্দেশিকা বহাল থাকবে। তত দিন নিয়োগ বন্ধ থাকবে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy