Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
Primary School

নামতা বলতে পারেনি, ন’বছরের ছাত্রের হাতে ড্রিল চালিয়ে শাস্তি শিক্ষকের!

গ্রন্থাগারের ভিতর দিয়ে যাচ্ছিল ন’বছরের ছাত্রটি। ওই স্কুলেরই পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে সে। তাকে ডেকে দুইয়ের নামতা জিজ্ঞেস করেন শিক্ষক। পারেনি সে। তাতেই চটে যান ওই শিক্ষক।

শাস্তি দিতে ছাত্রের হাতে দেওয়ালে ছিদ্র করার ড্রিল চালিয়ে দিলেন শিক্ষক!

শাস্তি দিতে ছাত্রের হাতে দেওয়ালে ছিদ্র করার ড্রিল চালিয়ে দিলেন শিক্ষক! গ্রাফিক্স: শৌভিক দেবনাথ।

সংবাদ সংস্থা
কানপুর শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২২ ১৫:১৯
Share: Save:

নামতা বলতে পারেনি ন’বছরের পড়ুয়া। এটুকুই ‘অপরাধ’। আর সে জন্য ছাত্রকে যা শাস্তি দিলেন শিক্ষক, দেখে হতবাক অভিভাবক থেকে প্রশাসন। অভিযোগ, শাস্তি দিতে ছাত্রের হাতে দেওয়ালে ছিদ্র করার ড্রিল চালিয়ে দিলেন শিক্ষক! উত্তরপ্রদেশের কানপুরের ঘটনা। বহিষ্কার করা হয়েছে শিক্ষককে। চলছে তদন্ত।

কানপুরের প্রেমনগরের প্রাথমিক স্কুলের ঘটনা। গত বৃহস্পতিবার স্কুলের গ্রন্থাগারে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছিল। তদারকি করছিলেন অভিযুক্ত শিক্ষক। জানা গিয়েছে, সে সময় গ্রন্থাগারের ভিতর দিয়ে যাচ্ছিল ন’বছরের ছাত্রটি। ওই স্কুলেরই পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে সে। তাকে ডেকে দুইয়ের নামতা জিজ্ঞাসা করেন শিক্ষক। পারেনি সে। তাতেই চটে যান ওই শিক্ষক। ড্রিল দিয়ে শাস্তি দেন।

জানা গিয়েছে, ছাত্রটির বাঁ হাতে ড্রিল চালিয়ে দেন ওই শিক্ষক। পাশে দাঁড়িয়ে ছিল আর এক ছাত্র। সে ড্রিলের প্লাগটি টেনে খুলে দেয়। তাতেই রক্ষা পায় বাচ্চাটি। যদিও হাতটি জখম হয়েছে। আহত ওই শিশু অভিযোগ করে বলেছে, ‘‘স্যর দুইয়ের ঘরের নামতা জিজ্ঞাসা করেছিলেন। আমি ঠিক করে বলতে পারিনি। তিনি আমার বাঁ হাতে ড্রিল যন্ত্র চালিয়ে দেন। আমার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক ছাত্র প্লাগটি টেনে খুলে দেয়। কিন্তু আমার হাতে চোট লেগেছে।’’

অন্য শিক্ষকরা জানতে পেরে গোটা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছাত্রটিকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। ছাত্রটির এক আত্মীয় বলেন, ‘‘তাকে অ্যান্টি-টিটেনাস পর্যন্ত দেননি শিক্ষকরা।’’ শুক্রবার বাবা-মাকে গোটা ঘটনা জানায় ওই ছাত্র। তাঁরা স্কুলে গিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষোভ জানান। এর পরেই জেলার প্রাথমিক শিক্ষা আধিকারিক (বিএসএ)-এর কাছে অভিযোগ করেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। আধিকারিক সুরজিৎকুমার সিংহ জানিয়েছেন, ওই শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়েছে। তদন্তের জন্য তিন সদস্যের কমিটিও গড়া হয়েছে। ছাত্রটির পরিবারের সঙ্গেও দেখা করেন সুরজিৎ।

অন্য বিষয়গুলি:

Primary School punishment Teacher UP
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy