প্রতীকী ছবি।
চাষের কাজে নিজের জমিতে খোঁড়াখুড়ি করার সময় তিনটি মুদ্রা খুঁজে পেয়েছিলেন এক কৃষক। বাড়ি ফিরে সেগুলি নিজের মেয়েকে দেখাতেই অবাক কাণ্ড! নিজের অজান্তেই চোলা রাজবংশের প্রাচীন মুদ্রা খুঁজে পেয়েছেন ওই ব্যক্তি। ওই মুদ্রাগুলি যে প্রত্নতাত্ত্বিক মূল্য রয়েছে, তা বুঝতে দেরি হয়নি কৃষকের মেয়েটির। তিরুপুল্লানির একটি সরকারি স্কুলে দ্বাদশ শ্রেণির ওই পড়ুয়ার এই ‘আবিষ্কার’-এর খবর ছড়িয়ে পড়তেই রামনাথপুরম এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ওই এলাকায় খননকাজ শুরু করার কথাও চিন্তা-ভাবনা করছে তামিলনাড়ুর পুরাতত্ত্ব বিভাগ এবং ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (আর্কিয়োলজিকাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া বা এএসআই)।
কী ভাবে ওই মুদ্রাগুলি চিনে ফেলল ছাত্রীটি? মুনেশ্বরী নামে ওই ছাত্রী জানিয়েছে, তাঁদের স্কুলের হেরিটেজ ক্লাবের সদস্য সে। সেখানেই প্রাচীন মুদ্রা এবং মাটির পাত্র চেনার বিষয়ে প্রশিক্ষণ পেয়েছে। এমনকি, এ ধরনের মুদ্রা বা পাত্রে খোদিত প্রাচীন লিপিও পড়তে পারে সে। সংবাদমাধ্যেমের কাছে মুনেশ্বরী বলে, ‘‘এই এলাকায় চোলা রাজবংশের রাজারাজা চোলামের সময়কার সভ্যতার নিদর্শন ছড়িয়ে রয়েছে। যা শ্রীলঙ্কা এবং ভিয়েতনামেও বিস্তৃত রয়েছে।’’ মুনেশ্বরীর স্কুলের শিক্ষক তথা হেরিটেজ ক্লাবের সচিব ভি রাজাগুরু জানিয়েছেন, মাস কয়েক আগে তাঁদের স্কুলের পড়ুয়ারা স্কুল ক্যাম্পাসে চিনের মাটির পাত্র খুঁজে পেয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘মুনেশ্বরীর বাবা যে মুদ্রাগুলি খুঁজে পেয়েছেন তা ১১ এবং ১২ শতকের খ্রিস্টপূর্বের চোলা রাজবংশের সময়কার।’’
তামিলনাড়ুর পুরাতত্ত্ব বিভাগের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছে, রামনাথপুরমে খননকাজের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। যদিও তিনি বলেন, ‘‘রামনাথপুরমে কী ভাবে খননকাজ হবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই আমরা ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের সঙ্গে আলোচনা করেছি। কবে তা শুরু হবে সে দিন ক্ষণ চূড়ান্ত না হলেও সেখানে খননকাজ যে হবে, তা নিশ্চিত!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy