ঘোষণা করা হয়েছিল, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন থাকবেন। অযোধ্যার রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারের জন্য বিশাল এলইডি স্ক্রিন বসানো হয়েছিল তামিলনাড়ুর কাঞ্চিপুরমের কামাক্ষী আম্মান মন্দিরে। কিন্তু সোমবার ভোরেই সেই এলইডি স্ক্রিন জোর করে খুলে ফেলা হল। ঘটনার জন্য অভিযোগের আঙুল উঠেছে সে রাজ্যের সরকার এবং শাসকদল ডিএমকের দিকে।

তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের সরকার রামমন্দির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্প্রচারে বাধা দিচ্ছে বলে আগেই অভিযোগ তুলেছিলেন নির্মলা। অভিযোগ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলাও করেছিলেন তিনি। সোমবার সকালে এক্স হ্যান্ডলে নির্মলা লেখেন, ‘‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কার মিথ্যা অজুহাত দিয়ে তামিলনাড়ু সরকার রামমন্দির উদ্বোধনের সরাসরি (লাইভ) সম্প্রচারে বিধিনিষেধ জারি করেছে। অযোধ্যা নিয়ে রায়ের (সুপ্রিম কোর্টের) দিন আইনশৃঙ্খলার কোনও সমস্যা হয়নি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে দিন রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন, সে দিনও দেশে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ছিল না।’’

এক্স হ্যান্ডলে ওই পোস্টে তামিলনাড়ু পুলিশের এলইডি স্ক্রিন খোলার একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন নির্মলা (আনন্দবাজার অনলাইন তার সত্যতা যাচাই করেনি)। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, তামিলনাড়ুর ছোট্ট গ্রাম করুনিলমের বাসিন্দা ২০০টি পরিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানের সাক্ষী হতে লাইভ সম্প্রচার দেখার ব্যবস্থা করতে গিয়ে পুলিশি বাধার মুখে পড়েছেন।

এর পরের পোস্টেই কামাক্ষী মন্দিরের প্রসঙ্গ টেনেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। লিখেছেন, “প্রখ্যাত কামাক্ষী কোভিলের ভিতর রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়েছিল। পুরোটাই বেসরকারি ভাবে আয়োজন করা হয়। কিন্তু সাদা পোশাকের পুলিশ গিয়ে এলইডি স্ক্রিন খুলে দিয়েছে। তামিলনাড়ুর ডিএমকে সরকার রাজ্যের নাগরিকদের অধিকার রক্ষার কাজে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। হিন্দু বিরোধী ডিএমকে এখন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ঘৃণা প্রকাশ করছে এবং পুলিশ দিয়ে আমজনতার আবেগকে দমন করছে।’’ যদিও তামিলনাড়ু সরকার সোমবার রামমন্দির উদ্বোধন সম্প্রচারে পুলিশি বাধাদানের অভিযোগ খারিজ করেছে।