নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
বক্তব্য শেষ করার পরই রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত শিল্পপতি মুকেশ অম্বানী, অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়া এবং তাঁর পুত্র তথা জেডিএস নেতা এইচডি কুমারস্বামীকে করজোড়ে নমস্কার করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
রামমন্দির চত্বরে আমন্ত্রিতদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখার পরে কুবের টিলায় গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে গিয়ে শিবমূর্তির পুজো করেন প্রধানমন্ত্রী। অযোধ্যার স্থানীয় ইতিহাস বলে, এখানে ধনসম্পদের দেবতা কুবের পায়ের ধুলো দিয়েছিলেন। সরযূ নদীর তীরে রামের জন্মভূমির অদূরেই তিনি স্থাপন করেছিলেন এক শিবলিঙ্গ। শিবপুজোও করেছিলেন।
আইন মেনেই রামমন্দির তৈরি হয়েছে বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, “রামের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। আমাদের বিচারবিভাগ বিচার সুনিশ্চিত করেছে। আইন মেনেই তৈরি হয়েছে মন্দির।”
রামকে বিবাদ নয়, সমাধান বলে উল্লেখ করার পর মোদী বলেন, “এটি (রামমন্দির) শুধু মন্দির নয়, ভারতের দর্শনও।”
“রামকে দেশের নিত্যতা, নিয়ন্ত্রক, রাম ব্যাপক। আমরা যা অনুভব করছি সেটাই ওঁর কৃপা।” সোমবার জনসভা থেকে বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। প্রধানমন্ত্রী জানালেন, এই সময় শুধু বিজয়ের নয়, একই সঙ্গে বিনয়েরও।
সোমবার মোদী বলেন, “রামের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। আমাদের বিচারবিভাগ বিচার সুনিশ্চিত করেছে। আইন মেনেই তৈরি হয়েছে মন্দির।” তার পরেই তিনি বলেন, “নিশ্চয়ই আমাদের চেষ্টা, ত্যাগে কোনও খামতি ছিল। তাই আমরা এত গুলো শতাব্দী ধরে এই কাজ করতে পারিনি। আজ সেই কাজ শেষ হল। আশা করি প্রভু রাম নিশ্চয়ই আমাদের ক্ষমা করে দেবেন।”
রাম আর তাঁবুতে নয়, এ বার মন্দিরে থাকবেন। বক্তব্য রাখতে উঠে এমনটাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
২২ জানুয়ারি শুধু কোনও তারিখ নয়, নতুন কালের শুরু। সোমবার অযোধ্যায় রামমন্দির চত্বরে বক্তব্য রাখতে উঠে এমনটাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
মঞ্চে বলতে উঠলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)-এর প্রধান মোহন ভাগবত।
রামমন্দিরের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা এবং সংকল্প ছাড়া সম্ভব হত না। বক্তব্য রাখতে উঠে এমনটাই জানালেন যোগী আদিত্যনাথ। যোগী বলেন, “আমাদের প্রজন্ম ধন্য, যাঁরা এই মুহূর্তের সাক্ষী হতে পারলেন।”
রামমন্দির উদ্বোধনের আগে ১১ দিনের ‘কঠিন ব্রত’ পালন করার কথা জানিয়েছিলেন মোদী। সোমবার রামলালার ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ হওয়ার পর গ্লাস থেকে চামচে করে চরণামৃত খাইয়ে প্রধানমন্ত্রীর ব্রত ভাঙেন শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের গোবিন্দদেব গিরি মহারাজ।
রামমন্দির চত্বরেই ভক্ত এবং আমন্ত্রিতদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখবেন মোদী। দুপুর দেড়টা নাগাদ তিনি সভাস্থলে পৌঁছন। ২টো পর্যন্ত সভা চলার কথা। জনগণের উদ্দেশে সেই সভা থেকেই প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দেবেন। এর পর অযোধ্যার গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় স্থান কুবের টিলায় যাওয়ার কথা মোদীর। হিন্দু ধর্মে এই কুবের টিলার গুরুত্ব অপরিসীম। অযোধ্যার ইতিহাস বলে, এখানে ধনসম্পদের দেবতা কুবের পায়ের ধুলো দিয়েছিলেন। সরযূ নদীর তীরে রামের জন্মভূমির অদূরেই তিনি স্থাপন করেছিলেন এক শিবলিঙ্গ। শিবপুজোও করেছিলেন। সোমবার দুপুরে ওই পবিত্র কুবের টিলা দর্শন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
নির্ধারিত সময়েই রামমন্দির চত্বরে পৌঁছন নরেন্দ্র মোদী। হাতে পুজোর ডালা নিয়ে ধীরে ধীরে গর্ভগৃহের দিকে এগোতে দেখা যায় তাঁকে। তার পর পুজোয় বসতে দেখা যায় তাঁকে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত। ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং সে রাজ্যের রাজ্যপাল আনন্দীবেন পটেলও। পঞ্চপ্রদীপে রামলালার আরতি করেন প্রধানমন্ত্রী। বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ সম্পন্ন হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy