তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের নিশানায় সিবিআই। ফাইল চিত্র।
তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য সেন্থিল বালাজিকে আর্থিক দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) গ্রেফতার করেছিল মঙ্গলবার। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ‘প্রত্যাঘাত’ করলেন। বুধবার তামিলনাডু সরকারের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, রাজ্যের অনুমতি ছাড়া সেখানে কোনও রকম তদন্ত করতে পারবে না কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই।
পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থান, পঞ্জাব, ছত্তীসগঢ়, কেরল-সহ দেশের ৯ রাজ্যে আগেই এমন বিধি রয়েছে। তামিলনাড়ু হল দশম রাজ্য। প্রসঙ্গত, কোনও রাজ্যে সিবিআই তদন্ত করতে গেলে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের সম্মতি আবশ্যক বলে ২০২০ সালে রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টও। শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, এই নীতি সংবিধানের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর সঙ্গেও সঙ্গতিপূর্ণ।
কেন্দ্রীয় সংস্থা হওয়া সত্ত্বেও সিবিআই পরিচালিত হয় ‘দিল্লি স্পেশাল পুলিশ এস্টাব্লিশমেন্ট অ্যাক্ট’ (ডিপিএসইএ) দ্বারা। ফলে এর মূল এক্তিয়ার দিল্লিতেই সীমাবদ্ধ। তবে সিবিআই তদন্তের উপর ‘নিয়ন্ত্রণ’ বলবৎ করতে পারলেও আর্থিক দুর্নীতি সংক্রান্ত তদন্তকারী সংস্থা ইডির তদন্তে হস্তক্ষেপ করা কোনও রাজ্য সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। নরেন্দ্র মোদীর সরকারের আমলে আইন সংশোধন করে বিপুল ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে ইডিকে। নয়া আইনে সায় দিয়ে গ্রেফতারি, তল্লাশি, সমন পাঠানো, নগদ সম্পত্তি আটকের মতো ইডির যাবতীয় ক্ষমতা বহাল রাখার কথা গত বছর এক রায়ে বলেছে শীর্ষ আদালতও।
প্রসঙ্গত, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের ডাকে পটনায় বিজেপি-বিরোধী নেতাদের বৈঠকের আগে ইডির হাতে তামিলনাড়ুর ডিএমকে সরকারের মন্ত্রীর গ্রেফতারি বিরোধী দলগুলির ঐক্যে নতুন রসায়নের কাজ করেছে। কংগ্রেস থেকে তৃণমূল, আরজেডি থেকে ন্যাশনাল কনফারেন্স— প্রায় সব বিরোধী দলই বুধবার একসুরে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সিবিআই-ইডিকে রাজনৈতিক স্বার্থে কাজে লাগানোর অভিযোগ তুলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy