প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে। —ফাইল চিত্র
শ্রীলঙ্কার সংখ্যালঘু সম্প্রদায় তামিলদের ‘বিরোধী’ হিসেবে পরিচিত প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে ও তাঁর প্রতিনিধিদলের সঙ্গে খোলামেলা ভাবেই তামিল-সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে দাবি করল নয়াদিল্লি। গত কাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে রাজাপক্ষের বৈঠকে ছিলেন দু’দেশের শীর্ষ প্রতিনিধিরাও। বিস্তারিত সেই বৈঠকের পরে মোদীর বক্তব্য, ‘‘আমি নিশ্চিত, শ্রীলঙ্কা সরকার সাম্য, ন্যায়, শান্তি এবং সম্মানের প্রশ্নে সে দেশের তামিল জনতার প্রত্যাশাকে মান্যতা দেবে।’’
শ্রীলঙ্কার উত্তর এবং উত্তর-পূর্ব ভাগে বসবাসকারী তামিলদের সে দেশের রাজনীতির মূল স্রোতে আনার বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছে নয়াদিল্লি। ভারতের তামিল-আবেগের সঙ্গে বিষয়টি সংযুক্ত। তাই এটি কেন্দ্রের শাসক পক্ষের রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার মধ্যেও পড়ে। নয়া নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সাম্প্রতিক বিতর্কেও শ্রীলঙ্কার তামিল সংখ্যালঘুদের বিষয়টি এসে অস্বস্তিতে রেখেছে মোদী সরকারকে। কারণ, এই আইনে শরণার্থীর তালিকায় শ্রীলঙ্কার তামিল হিন্দুদের রাখা হয়নি। তা নিয়ে দক্ষিণ ভারতে সুর চ়ড়েছে। শ্রীলঙ্কা থেকে আসা বহু হিন্দু পরিবার দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বছরের পর বছর ধরে বাস করছেন। তাঁদের এই আইনের আওতায় এনে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার দাবি জানিয়েছে শ্রীলঙ্কার ‘শিবা সেনাই’ নামে এক গোষ্ঠী। সংগঠনের নেতা মারাভানপুলাভু কে সচিতানন্থন অভিযোগ করেছেন, ভারতে প্রায় হাজার বছর ধরে শ্রীলঙ্কার হিন্দুরা অবহেলিত হয়ে আসছেন।
রাজাপক্ষে অবশ্য এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, নাগরিকত্ব আইন থেকে তামিল শরণার্থীদের বাদ রাখার বিষয়টি একান্ত ভাবেই নয়াদিল্লির অভ্যন্তরীণ। ভারতে বসবাসকারী শরণার্থীরা চাইলেই নিজেদের দেশে ফিরতে পারেন। তাঁদের ঘরবাড়িও সব অটুট রয়েছে বলে আশ্বাস দিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ইজ়রায়েলকে প্রতিরক্ষা তথ্য, সাসপেন্ড আইপিএস
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy