সমুদ্রগর্ভে বিয়ে।
টাস্কানির আঙুর ক্ষেতে অনুষ্কা শর্মাকে বিয়ে করেছিলেন বিরাট কোহালি। ফুটবল তারকা ডেভিড বেকহ্যাম আবার ভিক্টোরিয়াকে বিয়ে করেন ডাবলিনের পঞ্চদশ শতাব্দীর এক দুর্গে। বিয়ের আসর সাজাতে বিশেষ গন্তব্যে পৌঁছনো নতুন ঘটনা নয় আর। হলিউড বলিউডে প্রায়শই হচ্ছে। তবে বিয়ের গন্তব্য খুঁজতে জলের তলার যাওয়ার কথা আগে শুনেছেন কি? তামিল এক দম্পতি এ ব্যাপারে টেক্কা দিলেন, বিশ্বের তাবড় তারকা দম্পতিদের। সমুদ্রের ৬০ ফুট গভীরে জলের নীচে বিয়ের মণ্ডপ পাতলেন তাঁরা। সবরকম রীতি রেওয়াজ মেনে বিয়ে করলেন সেখানেই। সমুদ্র দূষণ প্রতিরোধের বার্তা দেওয়ার উদ্দেশ্যে।
তিরুভান্নামালাইয়ের চিন্নাদুরাই ও কোয়মবত্তূরের শ্বেতা প্রথম থেকেই ভেবেছিলেন বিয়ে করবেন এমন ভাবে যা সারাজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবে। গন্তব্য ঠিক করতে বসে হঠাৎই মাথায় আসে এই ভাবনা। সমুদ্রের জলে নেমে বিয়ে করলে কেমন হয়? সমুদ্র দূষণ নিয়ে সে ক্ষেত্রে একটা বার্তাও দেওয়া যাবে। যে ভাবে সমুদ্রে প্লাস্টিক থেকে শুরু করে নানা বর্জ্য ফেলা অভ্যাসে পরিণত করেছে মানুষ তা বদলানোও তো দরকার। সমুদ্রকে জীবনের সুন্দর স্মৃতির সঙ্গে জড়িয়ে ফেললে, হয়তো সেই মনোভাবে বদল আসবে। সিদ্ধান্তে তাই দেরি করেননি তামিল দম্পতি।
সোমবার ১ ফেব্রুয়ারি ছিল বিয়ে। বিয়ের মণ্ডপ সাজানো হয়েছিল ফুল, কলাপাতা, নারকেল পাতা দিয়ে। লাল শাড়ি আর সাদা পোশাকে হাজির ছিলেন বর কনেও। সে সব নিয়েই চেন্নাইয়ে নীলনকরাই উপকূলে জলে ডুব দিলেন দু’জনে।
প্রথা ভাঙা বিয়ে। তাই প্রস্তুতি পর্বও ছিল অন্যরকম। শাড়ি গয়নার বদলে স্কুবা ডাইভিংয়ের পোশাক কিনতে হয়েছিল শ্বেতা এবং চিন্নাদুরাইকে। স্কুবা ডাইভিংয়ের প্রশিক্ষণও নিতে হয়।
তবে শেষপর্যন্ত যে অভিজ্ঞতা হয়েছে তা সত্যিই ভোলার নয়। জলের ৬০ফুট গভীরে বিয়ের মণ্ডপ। ৪৫ মিনিটের অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা রেখে নেমেছিলেন তাঁরা। মালাবাদল মন্ত্রপাঠ হয়েছে ওই সময়ের মধ্যেই।
আর পোশাক? শ্বেতা জানিয়েছেন, ঐতিহ্য মেনেই বিয়ের পোশাক পরেছিলেন। শুধু খেয়াল রাখতে হয়েছিল স্কুবা ডাইভিংয়ের বিশেষ পোশাক যেন ঐতিহ্যবাহী পোশাকের কোনও সমস্যা তৈরি না করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy