ফাইল চিত্র।
বিগত ২০ বছর ধরে তাঁরা আলাদা থাকেন। বিবাহবিচ্ছেদের মামলাও চলছে আদালতে। দু’জনে আবার একসঙ্গে থাকতে চাইছেন বটে, কিন্তু অতীতের দাম্পত্যকলহের অভিজ্ঞতার কথা মনে পড়লেই পিছিয়ে আসছেন তাঁরা। এমতাবস্থায় দম্পতিকে আদালত চত্বরেই কোথাও বসে নিজেদের মধ্যে কথা বলে সমস্যা মিটমাট করার পরামর্শ দিল সুপ্রিম কোর্ট।
বিয়ের পর থেকে প্রায় রোজই ঝগড়াঝাটি হত। শেষমেশ হাল ছেড়ে দিয়ে ২০০১ সাল থেকে আলাদা থাকা শুরু করেন ইনদওরের ওই দম্পতি। তবে আজও একই পাড়ায় থাকেন তাঁরা। বুধবার দু’জনেই ইনদওর থেকে দিল্লি এসেছিলেন তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে অংশ নিতে। দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে দম্পতিকে নিজেদের মধ্যে কথা বলে সব মিটমাট করা নেওয়ার পরামর্শ দেয় বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি সূর্যকান্তের ডিভিশন বেঞ্চ।
শুনানি চলাকালীন বছর পঞ্চাশের স্বামী আদালতে জানান, বরাবর স্ত্রীর সঙ্গেই থাকতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বিবাহবিচ্ছেদের মামলার শুনানিতে স্ত্রী যা সব মন্তব্য করেছেন, তাতে ভীষণই আহত হয়েছেন তিনি। স্ত্রীও জানান, তিনিও স্বামীর সঙ্গেই থাকতে চেয়েছিলেন। পাল্টা স্বামীর বক্তব্য, অনেক বোঝানো সত্ত্বেও তাঁর স্ত্রীই সম্পর্ক ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন।
এর পরেই স্বামীর উদ্দেশে বিচারপতি সূর্যকান্ত বলেন, ‘‘আপনার যদি একসঙ্গে থাকতে ইচ্ছে করে, তা হলে কিছু ঘটনা আপনাকে ভুলতে হবে। আপনাদের এখন যা বয়স, তাতে আপনাদের একে অপরকে প্রয়োজন।’’ বিচারপতি চন্দ্রচূড়ও বলেন, ‘‘আপনারা মধ্যবয়স্ক দম্পতি। দু’জনেরই একে অপরকে প্রয়োজন। আপনার আদালত চত্বরেই ৩০ মিনিট নিজেদের মধ্যে কথা বলুন। দেখুন না, সমস্যা মিটমাট হয় কি না।’’
দুই বিচারপতির পরামর্শ মতো আধ ঘণ্টা নিজেদের মধ্যে কথা বলেন ওই দম্পতি। কথা বলার তাঁরা আদালতকে জানান, অনেকগুলি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে আরও বেশ কয়েক বার নিজেদের মধ্যে কথা বলা জরুরি। স্বামী-স্ত্রীর এই কথা শুনে আগামী ২৯ অগস্ট পরবর্তী শুনানি ডেকেছে ডিভিশন বেঞ্চ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy