ফাইল চিত্র।
উস্কানিমূলক টুইটের মামলায় শনিবার পঞ্জাবের মোহালির আদালত বিজেপির যুব নেতা তাজিন্দর পাল সিংহ বাগ্গার নামে জামিন-অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল। গভীর রাতে বাগ্গাকে রক্ষাকবচ দিল উচ্চ আদালত।
পঞ্জাবের শাসক দল আম আদমি পার্টির (আপ) এক নেতার দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে মোহালির আদালতে ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার জাতীয় সম্পাদক বাগ্গার বিরুদ্ধে মামলা চলছে। পাঁচ বার নোটিস দিয়েও তাঁর সাড়া মেলেনি, দাবি পঞ্জাব পুলিশের। মোহালির বিচারক রভতেশ ইন্দরজিৎ সিংহের এজলাসে শনিবার তাঁর নামে জারি হয় গ্রেফতারি পরোয়ানা। পরবর্তী শুনানির দিন দেওয়া হয় ২৩ মে।
এর পরেই পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন বাগ্গা। গভীর রাতে চণ্ডীগড়ে বিচারপতি অনুপ চিটকারার বাসভবনে বাগ্গার আবেদনের ভিত্তিতে শুনানি হয়। বাগ্গাকে গ্রেফতার করা নিয়ে শুক্রবার পঞ্জাব-দিল্লি-হরিয়ানা পুলিশের মধ্যে বিস্তর টানাহেঁচড়া হয়েছিল। হাই কোর্টে বিচারাধীন সেই সংক্রান্ত মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে মঙ্গলবার। আদালত জানিয়েছে, তার আগে পঞ্জাব পুলিশ মোহালির মামলায় বাগ্গাকে গ্রেফতার করতে পারবে না।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ পঞ্জাব পুলিশ দিল্লির বাড়ি থেকে বাগ্গাকে গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, বাগ্গার বাবা প্রীতপাল সিংহ দিল্লির জনকপুরী থানায় অপহরণের অভিযোগ করেন বেলা ১২টা ৩৫ নাগাদ। আঘাত, জোর করে বাড়িতে চড়াও হওয়া, ডাকাতি, অপহরণ, ধর্মীয় বিশ্বাসের ইচ্ছাকৃত অবমাননা প্রভৃতি অভিযোগে এফআইআর রুজু হয় ১২টা ৪১-এ।
এর পরেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা দিল্লি পুলিশ দ্বারকা আদালত থেকে ওয়ারেন্ট বার করা এবং পড়শি বিজেপি-শাসিত হরিয়ানার পুলিশকে সতর্ক করার প্রক্রিয়া শুরু করে। হরিয়ানা পুলিশের দাবি, সেই বার্তা পেয়েই সক্রিয় হয় তারা। পথ আটকানো হয় পঞ্জাব পুলিশের গাড়ির। এ দিকে, পঞ্জাবের পুলিশ
আধিকারিকদের দাবি, বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ হরিয়ানার কুরুক্ষেত্রে তাঁদের পথ রুখে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তার পরেই হাই কোর্টে যাওয়া হয়। খারিজ হয়ে যায় দিল্লি পুলিশের বাগ্গাকে ধরে রাখার আর্জি। শেষ পর্যন্ত, রাত ১টা নাগাদ ঘরে ফেরেন বাগ্গা।
পঞ্জাব সরকারের অভিযোগ, দিল্লির জনকপুরী ও হরিয়ানার কুরুক্ষেত্র থানায় আটকে রাখা হয়েছিল তাঁদের পুলিশকর্মীদের। তা অস্বীকার করেছে দিল্লি ও হরিয়ানা পুলিশ। এ দিন পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টে পঞ্জাব সরকার আর্জি জানিয়েছে, বাগ্গা-গ্রেফতারি মামলায় কেন্দ্রকে পক্ষ করা হোক। সংরক্ষণ করা হোক দিল্লির জনকপুরী এবং হরিয়ানার কুরুক্ষেত্রের পিপলি ও সদর থানার নজর-ক্যামেরার শুক্রবারের ফুটেজ। দিল্লি পুলিশের তরফে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল সত্যপাল জৈন বলেন, ‘‘দু’টি বিষয় তোলা হয়েছে। আদালত নোটিস জারি করলে উত্তর দেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy