গাঁধীমূর্তির নীচে শুরু অবস্থান। ছবি: এএফপি।
নরেন্দ্র মোদী সরকারের ‘স্বৈরাচারী আচরণ’, মূল্যবৃদ্ধি এবং খাদ্যপণ্যের জিএসটির প্রতিবাদে সংসদ ভবন চত্বরে গাঁধীমূর্তির নীচে ৫০ ঘণ্টার অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেলন সাসপেন্ড হওয়া ২০ জন রাজ্যসভা সাংসদ। বিক্ষোভকারী তৃণমূল সাংসদ দোলা সেনা বুধবার বলেছেন, ‘‘শুক্রবার দুপুর ১টা পর্যন্ত আমাদের অবস্থান চলবে।’’
লোকসভার চার সাসপেন্ডেড কংগ্রেস সাংসদও গাঁধীমূর্তির নীচে অবস্থানে শামিল হয়েছেন। বিরোধীদের বিক্ষোভের জেরে বুধবারও দফায় দফায় বাদল অধিবেশন মুলতুবি হয়েছে। কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, বাদল অধিবেশনের গোড়া থেকে মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনার দাবি জানিয়েছে তারা। গ্যাসের দাম বাড়ানো, খাদ্যপণ্যে জিএসটি বৃদ্ধির বিরুদ্ধে বিতর্ক চেয়ে মুলতবি প্রস্তাবের নোটিসও দিয়েছে। কিন্তু মোদী সরকার আলোচনায় রাজি হয়নি।
অধিবেশন চলাকালীন বিশৃঙ্খলা তৈরির অভিযোগে রাজ্যসভা থেকে মঙ্গলবার সাসপেন্ড করা হয় ২০ জন সাংসদকে। শুক্রবার পর্যন্ত সাসপেন্ড হওয়া সাংসদের তালিকায় রয়েছেন তৃণমূলের সাত জন— দোলা সেন, সুস্মিতা দেব, মৌসম বেনজির নুর, শান্তনু সেন, আবীররঞ্জন বিশ্বাস, নাদিমূল হক এবং শান্তা ছেত্রী। সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের মধ্যে রয়েছেন কানিমোঝি-সহ ডিএমকের ছয়, তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির তিন, সিপিএমের দুই, সিপিআইয়ের এক এবং আম আদমি পার্টির এক জন।
এর আগে সোমবার অধিবেশন চলাকালী অভব্যতার অভিযোগে কংগ্রেসের চার সাংসদ, তামিলনাড়ুর মনিকম টেগোর (বিরুধনগর) ও জ্যোতিমণি সেন্নিমালাই এবং কেরলের টিএন প্রতাপন (ত্রিশূর) ও রম্য হরিদাস (কোঝিকোড়)-কে বাদল অধিবেশনের বাকি দিনগুলির জন্য সাসপেন্ড করেন স্পিকার ওম বিড়লা। প্রসঙ্গত, আগামী ১২ অগস্ট পর্যন্ত সংসদের বাদল অধিবেশন চলবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy