ধর্নায় সাসপেন্ড হওয়া সাংসদরা। ছবি পিটিআই।
ডিএমকে-র পক্ষ থেকে আসা ইডলি। শিবসেনার ফলের রস। কংগ্রেসের পরোটা, পঞ্জাবের কালো আঙুর। তৃণমূলের রুটি-চিকেন।
কোনও চড়ুইভাতি নয়। বরং করোনা ও ডেঙ্গুর আবহে খোলা আকাশের তলায় রাত্রিযাপনের রসদ। বিরোধী দলের বিভিন্ন রাজ্যের সাংসদেরা এ ভাবেই খাবারের জোগান দিয়েছেন সংসদ চত্বরে গাঁধী মূর্তির পাদদেশে গোটা রাতের ধর্না অবস্থানে। সবুজ লনে, বাড়ি থেকে নিয়ে আসা চাদর আর বালিশ পেতে মধ্যরাতে ঘুমিয়েছেন সাসপেন্ড হওয়া সাংসদরা। বাকি সময়ে স্লোগান, কৃষক আন্দোলনের গান।
রাজ্যসভা থেকে সাময়িক ভাবে বহিষ্কৃত বিরোধী দলগুলির আট সদস্যের মনোবল জোগাতে ধর্নাস্থলে এসেছিলেন সতীর্থ নেতা, সাংসদেরা। এসেছেন দেবগৌড়া, আহমেদ পটেল, দিগ্বিজয় সিংহ-সহ অনেকেই। দিল্লিতে এখন প্রবল গরম। ধর্না স্থলে চালানো হয়েছিল স্ট্যান্ড ফ্যান। সাংসদদের শরীরে জলের মাত্রা যাতে কমে না যায়, তার ব্যবস্থাও হয়েছিল। কলকাতা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ নিয়ে নির্দেশ দিয়েছিলেন তাঁর দলের সাংসদদের।
রাতে নিরাপত্তা কর্মীদের পক্ষ থেকে রেখে দেওয়া হয়েছিল একটি অ্যাম্বুল্যান্স। সিপিএমের বয়স্ক সাংসদ এলামারান করিমের ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকায় তাঁর প্রতি বিশেষ নজর দিতে হয়েছে বাকি সাংসদদের। কাল ছিল কংগ্রেস সাংসদ রাজীব সতাভের জন্মদিন। গাঁধী মূর্তির নিচে কেক কাটা সম্ভব হয়নি, কিন্তু উপস্থিত নেতারা তাঁকে শুভেচ্ছা জানান। তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, “শেষ রাতে চোখ বুজে এসেছিল। যখন খুলল, দেখি সংসদ চত্বরের জোরালো ফ্লাড লাইট চোখ ধাঁধিয়ে দিচ্ছে! রাতে গোটা চত্বর স্যানিটাইজ় করছিলেন কর্মীরা। আমরা অনুরোধ করায় তাঁরা আমাদের এলাকাটিও করে দেন।’’
সকালে রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান আসার অনেক আগেই বিরোধী দলের নেতা, সাংসদেরা তাঁদের জন্য চা-কফি নিয়ে এসেছিলেন, সে কথাও জানান ডেরেক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy