Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
Demonetisation

নোটবন্দির সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ! মামলা শুনতে রাজি হল সুপ্রিম কোর্ট

২০১৬ সালের ৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, সে দিনের মধ্যরাতের পর থেকে অর্থাৎ ৯ ডিসেম্বর থেকে ৫০০ ও ১,০০০ টাকার নোট বাতিল বলে গণ্য হবে। ফলে ওই দু’ধরনের নোট ব্যবহার করে কোনও রকম লেনদেন করা যাবে না।

মোদী সরকারের নোটবন্দির সিদ্ধান্তে আমজনতাকে নাকাল হতে হয়েছিল।

মোদী সরকারের নোটবন্দির সিদ্ধান্তে আমজনতাকে নাকাল হতে হয়েছিল। ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৮:১০
Share: Save:

নরেন্দ্র মোদী সরকারের নোটবন্দির সিদ্ধান্ত কি সাংবিধানিক ভাবে বৈধ? বছর ছয়েক আগে এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অসংখ্য আবেদনকারী। অবশেষে নোটবন্দির সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে মামলাগুলির শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আব্দুল নাজিরের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের একটি বেঞ্চ আবেদনকারীদের বক্তব্য শুনবে।

সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, নোটবন্দির বৈধতা চ্যালেঞ্জ জানানো মামলাকারীদের আবেদন শোনার জন্য ইতিমধ্যে বুধবার চারটি সাংবিধানিক বেঞ্চে শুনানি হবে। এ নিয়ে আরও বিস্তারিত ভাবে শুনানি কবে থেকে শুরু হবে, তা বুধবার স্থির করতে পারে সুপ্রিম কোর্ট।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী মোদী ঘোষণা করেছিলেন, সে দিনের মধ্যরাতের পর থেকে অর্থাৎ ৯ ডিসেম্বর থেকে ৫০০ ও ১,০০০ টাকার নোট বাতিল বলে গণ্য হবে। ফলে ওই দু’ধরনের নোট ব্যবহার করে কোনও রকম লেনদেন করা যাবে না। পুরনো নোটের বদলে ব্যাঙ্ক থেকে নতুন নোট সংগ্রহ করতে হবে আমজনতাকে। পাশাপাশি, সে সময় বাজারে ১,০০০ টাকার পরিবর্তে ২,০০০ টাকার ব্যাঙ্কনোটও চালু করা হয়েছিল। মোদী সরকারের দাবি ছিল, জঙ্গি সংগঠনগুলির মদতে ভুয়ো এবং কালো টাকার রমরমা রুখতেই এই পদক্ষেপ। যদিও মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তে আমজনতাকে নাকাল হতে হয়েছিল। বিভিন্ন রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই সিদ্ধান্তের জেরে দেশের ৮৬ শতাংশই ব্যাঙ্কনোটই রাতারাতি বাতিলের খাতায় চলে গিয়েছিল। ২০১৬ সালে ৬৮ শতাংশ লেনদেনই ব্যাঙ্কনোটের মাধ্যমে হত।

নোটবন্দির নোটিসে আরও বলা হয়েছিল, পুরনো নোটের বদলে ওই বছরের ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ব্যাঙ্ক থেকে ৪,০০০ টাকা পর্যন্ত তুলতে পারবেন দেশের যে কোনও নাগরিক। এর জেরেও ভোগান্তির শিকার হয়েছিলেন অগণিত গ্রাহক। টাকা তোলার জন্য ব্যাঙ্ক এবং এটিএমগুলির সামনে দীর্ঘ লাইন পড়ে গিয়েছিল। যদিও তার পর থেকে এই সিদ্ধান্তে বেশ কিছু বদল করা হয়েছিল।

মোদী সরকারের নোটবন্দির সিদ্ধান্তে যে কালো টাকার রমরমা কমেনি, বিভিন্ন সময়ে সে অভিযোগ করেছে বিরোধী দলগুলি। এ নিয়ে বার বার বিজেপি সরকারকে বিঁধেছে তারা। এমনকি, নোটবন্দিকে চ্যালেঞ্জ করে এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের অসংখ্য মামলা রুজু করা হয়েছিল। ২০১৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর এ বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠানো হয়েছিল। যদিও সে সময় এই মামলাগুলির জন্য কোনও সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠিত ছিল না। অবশেষে নোটবন্দির সিদ্ধান্ত ঘোষণার বছর ছয়েক পর মামলাগুলির শুনানি শুরু হবে।

অন্য বিষয়গুলি:

Demonetisation Narendra Modi Black Money Currency Notes Fake currency notes
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy