Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
Hijab

মুম্বইয়ের কলেজে হিজাবের উপর নিষেধাজ্ঞা, এবার মামলা সুপ্রিম কোর্টে, শুনানি শুক্রবার

মাস খানেক আগে মুম্বইয়ের একটি কলেজ জানিয়েছিল, হিজাব পরে ক্লাসে আসতে পারবেন না পড়ুয়ারা। এর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন ছাত্রীরা। ফের একবার দেশে হিজাব বিতর্ক মনে করিয়ে দিচ্ছে ২০২২ সালের কর্নাটকের কথা।

— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০২৪ ১৮:৩৭
Share: Save:

হিজাব, বোরখা কিংবা ধর্মীয় পরিচয়ের বাহক কোনও পোশাক পরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসা যাবে না! মাসখানেক আগে এমনই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল মুম্বইয়ের এক কলেজ। ওই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বম্বে হাই কোর্টে মামলাও দায়ের হয়। মামলা খারিজ করে দিয়ে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, এমন নির্দেশ পড়ুয়াদের মৌলিক অধিকার খর্ব করে না। এ বার তার বিরুদ্ধে আবেদন জমা পড়েছে সুপ্রিম কোর্টে। শুক্রবার শুনানি শীর্ষ আদালতে।

আবেদনকারীদের পক্ষের আইনজীবী আবিহা জাইদি জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার থেকে ওই কলেজে পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। এই নতুন পোশাকবিধির কারণে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অনেক ছাত্রছাত্রী সমস্যায় পড়তে পারেন। বিষয়টি শুনে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, শুক্রবার এই মামলার শুনানি হবে।

গত জুন মাসে চেম্বুরের আচার্য ও ডিকে মরাঠে কলেজের কর্তৃপক্ষ পড়ুয়াদের জন্য পোশাকবিধি নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন। কর্তৃপক্ষের জারি করা নোটিসে বলা হয়েছিল, ‘‘ক্যাম্পাসে থাকাকালীন শিক্ষার্থীদের অবশ্যই শালীন পোশাক পরতে হবে। ছাত্রেরা হাফ শার্ট বা ফুল শার্ট এবং ট্রাউজ়ার পরতে পারেন। মেয়েরা পরতে পারেন ভারতীয় এবং পাশ্চাত্য পোশাক। তবে শিক্ষার্থীরা এমন কোনও পোশাক পরতে পরবেন না, যাতে তাঁর ধর্মীয় পরিচয় প্রকাশ পায় বা সাংস্কৃতিক বৈষম্য চোখে পড়ে। ক্যাম্পাসে হিজাব, বোরখা, টুপি বা ওই জাতীয় পোশাক অনুমোদিত নয়। পরা যাবে না ছেঁড়া জিন্‌স, টি-শার্ট কিংবা জার্সিও।’’ বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভ ফেটে পড়ে পড়ুয়াদের একাংশ। বিষয়টি নিয়ে বম্বে হাই কোর্টে মামলাও দায়ের হয়। তবে হাইকোর্ট এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চায়নি।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি কর্নাটকের উদুপির একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কয়েক জন হিজাব পরিহিত পড়ুয়াকে ক্লাসে বসতে বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটে। কলেজ উন্নয়ন সমিতির সভাপতি তথা স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক রঘুপতি ভট্ট স্পষ্ট জানিয়ে দেন, হিজাব পরিহিতরা ক্লাসে ঢুকতে পারবেন না। সেই বিতর্ক দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে রাজ্য জুড়ে। হিজাবের পাল্টা হিসেবে গেরুয়া উত্তরীয় পরে আন্দোলন শুরু করে একাধিক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। পরিস্থিতি বুঝে কয়েকটি জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। সমস্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয় অনির্দিষ্ট কালের জন্য। সে বারও হিজাব বিতর্কের রেশ গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। সেই মামলা এখনও শীর্ষ আদালতে বিচারাধীন।

অন্য বিষয়গুলি:

Hijab Supreme Court Supreme Court India Bombay High Court Hijab Controversy
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy