ফাইল চিত্র।
কারাদণ্ডের আদেশ প্রত্যাহার করতে বিচারপতি সিএস কারনানের চ্যালেঞ্জ খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত। আদালত অবমামনার মামলায় সুপ্রিম কোর্ট, গত ৯ মে এক নজিরবিহীন রায়ে, ছ’মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের এই বিচারপতিকে। সেই নির্দেশের পরই কলকাতা ছেড়ে চেন্নাই চলে যান কারনান। বিধাননগর পুলিশের দল কারনানকে ধরতে চেন্নাই গেলেও তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। যদিও সুপ্রিম কোর্টে কারনানের আইনজীবী জানিয়েছেন, চেন্নাইতেই আছেন বিচারপতি।
হাইকোর্টের কোনও কর্মরত বিচারপতির বিরুদ্ধে কারাদণ্ডের রায় দেশের ইতিহাসে প্রথম। কারনানের হয়ে, এই রায়ের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তা প্রত্যাহারের আর্জি জানান তাঁর আইনজীবী ম্যাথিউস নেদুমপারা। উত্তরে শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, “আমাদের সময় নষ্ট করবেন না। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রি যখন আপনার পিটিশন ক্লিয়ার করবে তখন আমরা বেঞ্চ তৈরি করব।” অর্থাত্ এ নিয়ে কোনও রকম আগাম শুনানির কথাও এখন শুনতে রাজি নয় শীর্ষ আদালত।
আরও পড়ুন: শহিদের বাড়িতে যোগী, সঙ্গে এল সোফা-এসি, ফিরেও গেল তাঁর সঙ্গে
দেশের ২০ জন বিচারপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এ বছরের গোড়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লেখেন কারনান। দাবি করেন তদন্তের। এই মামলাতেই প্রথমে সুপ্রিম কোর্টে ভর্ত্সিত হন তিনি। তাতেও থামানো যায়নি। তাঁর বিরুদ্ধে জারি হয় পরোয়ানা। কিন্তু আদালতে হাজির করানো যায়নি কারনানকে। ইতিমধ্যেই আদালতে তাঁর হাতে থাকা সমস্ত মামলা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এর পর তাঁর মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু চিকিত্সকদের সঙ্গে দেখা করেননি অভিযুক্ত বিচারপতি। উল্টে তিনি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের বিরুদ্ধে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। এর পরই শীর্ষ আদালতের সাত সদস্যের বেঞ্চ তাঁকে ছ’মাসের কারাদণ্ড দেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy