— ফাইল চিত্র।
রাজ্যের পরিবর্তে স্বাধীন সংস্থাকে হস্তান্তরিত করা হতে পারে তিরুপতি লাড্ডু মামলার তদন্তভার। সোমবার এমনটাই জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি বিআর গভই এবং কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ জানাল, বিষয়টি বিবেচনার পর এ নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে শীর্ষ আদালত।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টে তিরুপতি লাড্ডু মামলার শুনানি ছিল। সেই শুনানিতে দুই বিচারপতির প্রশ্নের মুখে পড়েন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ড়ু। বিচারপতিরা তাঁকে সরাসরি প্রশ্ন করেন, ‘‘আপনি (অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার) যখন বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন, তখন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়ার কী প্রয়োজন ছিল?’’ তার পরেই অন্ধ্র সরকারকে কটাক্ষ করে ভেসে আসে সুপ্রিম কোর্টের কড়া বার্তা, ‘‘ভগবানকে রাজনীতির থেকে দূরে রাখুন।’’ পাশাপাশি, মামলার তদন্তভার রাজ্যের পরিবর্তে স্বাধীন সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার বিষয়টি নিয়েও ভাবছে শীর্ষ আদালত। আগামী ৩ অক্টোবরের শুনানিতে সেই সংক্রান্ত নির্দেশিকা পেশ করবেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। বিবেচনার পর এ বিষয়ে অন্তিম সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
সম্প্রতি তিরুপতির প্রসাদী লাড্ডু নিয়ে ‘বিতর্কিত’ মন্তব্য করেন চন্দ্রবাবু। তাঁর অভিযোগ ছিল, জগন্মোহন রেড্ডির সরকারের আমলে তিরুমালার প্রসাদী লাড্ডু বানানোর সময় ব্যবহৃত ঘি-তে পশুর চর্বি মেশানো হত। গুজরাতের এক সরকারি ল্যাবরেটরির জুলাইয়ের একটি রিপোর্ট উদ্ধৃত করে চন্দ্রবাবু দাবি করেন, তিরুপতি বেঙ্কটেশ্বর মন্দিরের প্রসাদী লাড্ডুতে ‘বিশুদ্ধ’ ঘিয়ের সঙ্গে মেশানো হচ্ছে পশুর চর্বি। সেই থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। ওয়াইএসআর কংগ্রেস অবশ্য ওই অভিযোগ অস্বীকার করে এবং চন্দ্রবাবুর মন্তব্যকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে মন্তব্য করে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এ ব্যাপারে চিঠিও লেখেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডি। তাঁর অভিযোগ, তিরুপতি মন্দিরের মর্যাদা ও পবিত্রতা নষ্টের চেষ্টা করেছেন চন্দ্রবাবু। শেষমেশ লাড্ডু বিতর্কের জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। গত শুক্রবারই এক আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে এই মর্মে মামলা দায়ের করেন যে, প্রসাদী লাড্ডুতে পশুর চর্বি মিশিয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষদের ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে। সোমবার সেই মামলাতেই শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy