উত্তরপ্রদেশের হাথরসে তরুণীর গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা সম্পর্কে খবর সংগ্রহ করতে যাওয়ার পথে গ্রেফতার হন কেরলের সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পান। ছবি: সংগৃহীত।
নরেন্দ্র মোদী জমানায় সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠছে বারবার। তারই মধ্যে আজ জাতীয় প্রেস দিবসে সংবাদমাধ্যমের প্রশংসা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
আজ এক টুইটে শাহ বলেন, ‘‘আমাদের দেশের ভিত্তিকে মজবুত করতে সাংবাদিকেরা নিরলস পরিশ্রম করছেন। মোদী সরকার সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রতি দায়বদ্ধ। যারা এই স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে চায় এই সরকার তাদের ঘোরতর বিরোধী।’’ কোভিড অতিমারির সময়ে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকার প্রশংসা করেন তিনি।
ঘটনাচক্রে এ দিনই সুপ্রিম কোর্টে শুনানি ছিল কেরলের সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পানের জামিনের আর্জির। উত্তরপ্রদেশের হাথরসে তরুণীর গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা সম্পর্কে খবর সংগ্রহ করতে যাওয়ার পথে গ্রেফতার হন কাপ্পান। পরে তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাস-বিরোধী ইউএপিএ আইনে মামলা করা হয়।
আরও পড়ুন: কম আসন নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী, নীতীশ কি বিজেপি-র চক্রব্যূহে অভিমন্যু
আরও পড়ুন: জাতের অঙ্কেই নয়া মন্ত্রিসভা বিহারে, প্রাধান্য পিছড়ে বর্গের
সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা আর্জিতে কাপ্পানের জামিনের আবেদনের পাশাপাশি তাঁর গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করেছে কেরলের সাংবাদিক সংগঠন। তারা জানিয়েছে, কাপ্পানের সঙ্গে দেখা করতে মথুরা জেলে গিয়েছিলেন আইনজীবীরা। কিন্তু দেখা করার অনুমতি পাননি। পরিবারের সদস্যেরাও তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারেননি।
কাপ্পানের আইনজীবী কপিল সিব্বল সওয়ালে জানান, এফআইআরে তাঁর মক্কেলের নাম নেই। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগও নেই। ৫ অক্টোবর থেকে তিনি জেলে রয়েছেন। তাই সংবিধানের ৩২ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ক্ষমতা ব্যবহার করে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা উচিত সুপ্রিম কোর্টের।
কিন্তু প্রধান বিচারপতি এস এ বোবডের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ প্রশ্ন তোলে, আবেদনকারীরা প্রথমে এলাহাবাদ হাইকোর্টে যাননি কেন? প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘৩২ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত ক্ষমতা প্রয়োগ চেয়ে প্রচুর আর্জি জমা পড়ছে। আমরা এই ধরনের আর্জির সংখ্যা কমানোর চেষ্টা করছি।’’
কয়েকটি নজিরের কথা উল্লেখ করে সিব্বল বলেন, ‘‘মহামান্য বিচারপতিরা আগেও ৩২ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত ক্ষমতা প্রয়োগ করেছেন। ইনি এক জন সাংবাদিক।’’ প্রধান বিচারপতি জানান, এই মামলায় উত্তরপ্রদেশ সরকারকে নোটিস জারি করা হবে। তবে মামলাটিকে হাইকোর্টে পাঠানো হতে পারে। শুক্রবার ফের এই মামলার শুনানি হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy