কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ারের দায়ের করা মামলার পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের। — ফাইল চিত্র।
রাজনৈতিক নেতাদের নেতৃত্বে বিক্ষোভ-প্রতিবাদের বৈধতা নিয়েই এ বার প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট। একটি মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালতের প্রশ্ন, ‘‘যদি সাধারণ মানুষ এই একই ধরনের প্রতিবাদ করতেন, তবে কি সেই পরিস্থিতিতেও ফৌজদারি মামলা খারিজ হয়ে যাবে?’’
২০২২ সালে কর্নাটকে তখনও বাসবরাজ বোম্মাই সরকার। রাজ্যের তৎকালীন পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী কেএস ঈশ্বরাপ্পার বিরুদ্ধে উঠেছিল দুর্নীতির অভিযোগ। শুধু তা-ই নয়, সন্তোষ পাটিল নামে এক ঠিকাদারকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। ঈশ্বরাপ্পার ইস্তফার দাবিতে পথে নামে কংগ্রেস। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছিল হাত শিবির। সে সময় এমনই এক বিক্ষোভ মিছিলের আপত্তি জানিয়ে মামলা করেছিল কেরল পুলিশ। সেই মামলায় নাম জড়িয়েছিল কর্নাটকের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া-সহ চার জন কংগ্রেস নেতার।
এই মামলায় গত মাসে কর্নাটক হাই কোর্ট মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া-সহ চার জন কংগ্রেস নেতাকে আগামী ৬ মার্চ নিম্ন আদালতে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়। হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন সিদ্দারামাইয়ারা। সোমবার বিচারপতি ঋষিকেশ রায় এবং বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ হাই কোর্টের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে।
সেই মামলাতেই রাজনৈতিক বিক্ষোভ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্র। পাশাপাশি আইনি ব্যবস্থার নিরপেক্ষতাও নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। সোমবারের মামলায় সিদ্দারামাইয়াদের পক্ষের আইনজীবী কপিল সিব্বল সওয়াল করার সময় বলেন, ‘‘আমার মক্কেলদের বিরুদ্ধে ফৌজিদারি মামলা রুজু করে প্রতিবাদ করার অধিকার খর্ব করার চেষ্টা করা হয়েছে।’’ তা শুনেই বিচারপতি টেনে আনেন ‘সাধারণ মানুষ’-এর প্রসঙ্গ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy