Advertisement
E-Paper

Supreme Court: ইডির ‘বাড়তি’ ক্ষমতার বিরুদ্ধে আর্জি শুনল সুপ্রিম কোর্ট, মত জানতে নোটিস কেন্দ্রকে

বিরোধীদের অভিযোগে, ইডি-কে রাজনৈতিক স্বার্থে কাজে লাগাতে তার হাতে লাগামহীন ক্ষমতা তুলে দিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার।

গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০২২ ১৫:১০
Share
Save

কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র বিশেষ ক্ষমতা নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের শুনানিতে আপত্তি নেই সুপ্রিম কোর্টের। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের মতামত জানতে চেয়ে নোটিস পাঠানো হয়েছে।

কেন্দ্রের নয়া আইনে সায় দিয়ে গ্রেফতারি, তল্লাশি, সমন পাঠানো, নগদ-সম্পত্তি আটকের মতো ইডির যাবতীয় ক্ষমতা আপাতত বহাল রাখার কথা বলেছে শীর্ষ আদালত। তবে অভিযুক্তকে গ্রেফতারির কারণ জানাতে হবে বলে গত ২৭ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশও বৃহস্পতিবার বহাল রেখেছে প্রধান বিচারপতি এনভি রমণার বেঞ্চ।

বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছিল, ইডি-কে রাজনৈতিক স্বার্থে কাজে লাগাতে তার হাতে লাগামহীন ক্ষমতা তুলে দিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। ইডির ক্ষমতার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে প্রায় আড়াইশো মামলা দায়ের হয়েছিল। কিন্তু গত ২৭ জুলাই কেন্দ্রকে স্বস্তি দিয়ে বিচারপতি এ এম খানউইলকরের বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছিল, আর্থিক নয়ছয় প্রতিরোধ আইনে (পিএমএলএ) ইডি-কে যে সব ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, তা সংবিধান-বিরুদ্ধ নয়। আর্থিক কেলেঙ্কারি রুখতে কড়া আইনেরই প্রয়োজন। সেই রায় পুনর্বিচনার আবেদন জানিয়ে কংগ্রেস সাংসদ কার্তি চিদম্বরম যে আবেদন জানিয়েছিলেন বুধবার তা শুনতে রাজি হয়েছিল প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।

সংশোধিত পিএমএলএ আইন অনুযায়ী, কাউকে গ্রেফতার করার আগে ইডির তরফ থেকে অভিযুক্তকে, তাঁর বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ জানানোর প্রয়োজন নেই। ইডি তদন্ত শুরুর আগে যে ইসিআইআর (এনফোর্সমেন্ট কেস ইনফর্মেশন রিপোর্ট) দায়ের করে, তা গ্রেফতারির আগে দেখাতে হয় না। ইডির এই ক্ষমতা সংবিধানের মৌলিক অধিকারের বিরোধী বলে অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু ২৭ জুলাই অবসর নেওয়ার দু’দিন আগে বিচারপতি খানউলকর তাঁর রায়ে জানিয়েছিলেন, ইসিআইআর দেখানোর প্রয়োজন নেই। তা ইডির নিজস্ব নথি। কিন্তু অভিযুক্তকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে, তা জানাতে হবে।

এ ছাড়া একটি ক্ষেত্রে বিচারপতি খানউইলকরের বেঞ্চ পিএমএলএ নিয়ে আপত্তিতে স্বীকৃতি দিয়েছিল। মনমোহন সরকারের জমানায় তৈরি ওই আইন, মোদী সরকারের সময়ে একাধিক বার সংশোধন করা হয়েছে। গত বাজেট পেশ করার সময়ে অর্থ বিলের মাধ্যমেও পিএমএলএ-তে সংশোধন করা হয়েছিল। যাতে রাজ্যসভায় বিরোধীরা তাতে বাধা দিতে না পারে সেই উদ্দেশ্যেই ছিল এই পদক্ষেপ। কংগ্রেসের জয়রাম রমেশ এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন। বিচারপতি খানউইলকরের বেঞ্চ বলেছে, এই বিষয়টি বিচারের জন্য সাত বিচারপতির বেঞ্চে পাঠানো হবে।

PMLA ED Enforcement Directorate Supreme Court

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

ক্যানসেল করতে পারবেন আপনার সুবিধামতো

Best Value
প্রতি বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

প্ল্যানটি সিলেক্ট করে 'Subscribe Now' ক্লিক করুন।শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
প্রতি মাসে

৪২৯

১৬৯

প্ল্যানটি সিলেক্ট করে 'Subscribe Now' ক্লিক করুন।শর্তাবলী প্রযোজ্য।