ফাইল চিত্র।
বিচারপতিদের নিশানা করাটা এখন ‘ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে’ এবং মহারাষ্ট্র ও উত্তরপ্রদেশে এই প্রবণতা সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে বলেই মনে করছে সুপ্রিম কোর্ট। বিচাপতিদের আক্রমণের কারণে একজন আইনজীবীকে ১৫ দিনের কারদণ্ড দিয়েছে মাদ্রাজ হাই কোর্ট। সেই সংক্রান্ত মামলাটিকে সামনে রেখেই শীর্ষ আদালতের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় আজ এই মন্তব্য করেছেন। হাই কোর্টের রায় বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট।
বিচারপতি চন্দ্রচূড় মত প্রকাশ করেছেন, গোটা দেশেই বিচারপতিরা এই ধরনের আক্রমণের মুখে পড়ছেন। এমনকি, জেলাগুলিতে বিচারকদের কোনও নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে না। তাঁর পর্যবেক্ষণ, ‘‘বিচারপতি যত কড়া হবেন, তাঁর বিরুদ্ধে ততই কুৎসিত অভিযোগ আনা হবে।’’ বিচারপতি চন্দ্রচূড় মাদ্রাজ হাই কোর্টের দেওয়া শাস্তি বহাল রেখে আজ এক শ্রেণির আইনজীবীকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বলেছেন, ‘‘এই ধরনের আইনজীবীরা বিচারব্যবস্থার উপর এক একটি দাগ। এঁদের কড়া ভাবে মোকাবিলা করতে হবে।’’ শীর্ষ আদালতের মতে, আইনজীবীরা আইনের ঊর্ধ্বে নন। যদি তাঁরা বিচারের প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন, তা হলে তাঁদেরও শাস্তির মুখে পড়তে হবে।শাস্তিপ্রাপ্ত ওই আইনজীবীকে নিয়ে বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, ‘‘ওই আইনজীবীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারি করেছিলেন বিচারপতি। হাই কোর্টের সামনে একটি চায়ের দোকানে দেখা মিলেছিল তার। সেই সময়ে তাকে ঘিরে ছিলেন একশো আইনজীবী। ওই পরোয়ানার কপি তাকে যাতে দেওয়া না হয়, সেই চেষ্টা হয়েছিল। সিসিটিভি ফুটেজে এটা দেখা গিয়েছে। সবচেয়ে খারাপ ব্যাপার হল, এর পরেই তিনি বিচারপতি পিটি আশার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনতে থাকেন।’’ সুপ্রিম কোর্টের মতে, ওই আইনজীবীকে দু’সপ্তাহের জন্য কারাদণ্ড দেওয়া খুবই কম শাস্তি। জেলে গেলে তাঁর হয়তো অনুশোচনা হবে। এর পরেই বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, এই সময়ে বিচারপতিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনাটা নতুন ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, তামিলনাড়ুর হাই কোর্টে এই ধরনের ঘটনা বেশি করে ঘটছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy