ইউনিয়ন কার্বাইডের সেই অভিশপ্ত কারখানা চত্বর। — ফাইল ছবি।
ইউনিয়ন কার্বাইডের কাছ থেকে ৭,৪০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণের দাবি করে ২০১০ সালে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা কেন্দ্রের আর্জি (কিউরেটিভ পিটিশন) খারিজ। ১৯৮৪ সালে মধ্যপ্রদেশের ভোপালে ইউনিয়ন কার্বাইডের প্ল্যান্ট থেকে বিষাক্ত গ্যাস বেরিয়ে ভোপালে মৃত্যু হয় বহু মানুষের। সেই প্রেক্ষিতেই শীর্ষ আদালতে ওই সংস্থার কাছে অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণ চাওয়ার আর্জি দায়ের করে কেন্দ্র। সেই আর্জিই খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
বিচারপতি এসকে কওলের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ মঙ্গলবার জানায়, ঘটনার দু’দশক পর কেন্দ্রীয় সরকার যে ভাবে এই প্রসঙ্গ উত্থাপিত করছে তার কোনও যৌক্তিকতা নেই। পাশাপাশি, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায় এই বাবদ ৫০ কোটি টাকা পড়ে আছে বলেও জানতে পারে আদালত। সেই অর্থ ভারত সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের কাজে ব্যবহার করবে বলেও জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। যে সমস্ত পরিবারে ক্ষতিপূরণ দেওয়া এখনও বকেয়া আছে, তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ওই তহবিলের অর্থ ব্যবহার করা যাবে।
আদালত বলে, ‘‘দু’দশক পর এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করার নেপথ্যে গ্রহণযোগ্য কোনও যুক্তি দিতে পারেনি ভারত সরকার। তা নিয়ে আদালত অসন্তুষ্ট। আমরা মনে করি এই আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়।’’ প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের এই সাংবিধানিক বেঞ্চ গত ১২ জানুয়ারি এই মামলাটির শুনানি শেষ করেছিল। তার পর রায়দান স্থগিত রাখা ছিল।
১৯৮৪-য়ে গ্যাস বিপর্যয়ের পর ইউনিয়ন কার্বাইড (বর্তমানে ডাউ কেমিক্যালস) ১৯৮৯ সালে ভারতীয় মুদ্রায় ৭১৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ দিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রের দাবি ছিল ইউনিয়ন কার্বাইডকে ৭,৮৪৪ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ দিতে হবে। ১৯৮৪ সালের ২ এবং ৩ ডিসেম্বর ইউনিয়ন কার্বাইডের কারখানা থেকে বিষাক্ত গ্যাস বেরিয়ে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। গ্যাস বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যা লক্ষাধিক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy