মণিপুরের শীঘ্রই শান্তি ফিরবে বলে মনে করছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের প্রতিনিধিদল। কুকি-মেইতি জনজাতির সংঘাতে ধ্বস্ত মণিপুরের বাস্তব পরিস্থিতি শনিবার ঘুরে দেখেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গবইয়ের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধিদলে রয়েছেন শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বিক্রম নাথ, বিচারপতি এমএম সুন্দ্রেশ এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথন। মণিপুরের চুরাচান্দপুর জেলায় ঘরছাড়াদের সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। মণিপুরবাসীকে তাঁরা আশ্বস্ত করেন, দ্রুত সে রাজ্যে শান্তি ফিরবে।
উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যটিতে বর্তমানে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি রয়েছে। ২০২৩ সালের মে মাস থেকে মণিপুরের অশান্তিতে ২৫০-র বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ঘরছাড়া হয়েছেন হাজারেরও বেশি মানুষ। অশান্তি-কবলিত এই রাজ্যে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতির শাসন জারি হয়। রাষ্ট্রপতি শাসনের আবহে রাজ্যপাল অজয় ভল্লাই মণিপুরের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার চুরাচান্দপুরে ত্রাণশিবিরে ঘরছাড়াদের সঙ্গে দেখা করলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা। চুরাচান্দপুর জেলার লামকায় উপসচিবালয় থেকে একটি আইনি সহায়তা শিবির এবং একটি স্বাস্থ্যশিবিরেরও ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন তাঁরা। শীর্ষ আদালতের বিচারপতিদের সঙ্গে ছিলেন মণিপুর হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি কৃষ্ণকুমার এবং বিচারপতি গোলমেই গাইফুলশিলু।
আরও পড়ুন:
চুরাচান্দপুরের ত্রাণশিবিরে ঘরছাড়াদের উদ্দেশে বিচারপতি গবই বলেন, “শীঘ্রই মণিপুরে শান্তি ফিরবে। আমরা জানি আপনারা সবাই একটি কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু সকলের সহযোগিতায় অল্প সময়ের মধ্যেই এই পরিস্থিতি মিটে যাবে।” মণিপুরবাসীকে সংবিধানের উপর আস্থা রাখার জন্য অনুরোধ করেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের প্রতিনিধিদল। বিচারপতি গবই বলেন, “রাজ্যে যাতে একদিন পুরোপুরি শান্তি ফিরে আসে, তা নিশ্চিত করবে সংবিধান। একদিন আমরা ঠিক এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠব।”
রাষ্ট্রপতি শাসনের মাঝেই গত রবিবার রাতে নতুন করে তপ্ত হয়েছে চুরাচান্দপুর। গোটা জেলায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সোমবার সকাল থেকে জেলা জুড়ে জারি হয় ১৬৩ ধারা। বৃহস্পতিবার থেকে ওই কড়াকড়ি আংশিক শিথিল হয়েছে।