দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল।
আবগারি মামলায় গ্রেফতার হয়ে তিহাড় জেলে রয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। দিল্লি হাই কোর্টে জামিনের আবেদন করেও লাভ হয়নি। কেজরীর আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে। এ বার অন্য এক মামলায় দিল্লি হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন তিনি। সোমবারই সেই মামলার শুনানি হবে।
উল্লেখ্য, ইউটিউবার ধ্রুব রাঠির ২০১৮ সালের একটি ভিডিয়ো রিটুইট করে বিপাকে পড়েছিলেন কেজরীওয়াল। তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের হয়েছিল নিম্ন আদালতে। সেই মামলাতেই হাই কোর্ট কেজরীকে সমন পাঠিয়েছিল। নির্দেশে বলা হয়েছিল, কোনও মানহানিকর বিষয়বস্তু যদি কেউ সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নেন, তবে তিনিও সমান অভিযুক্ত। তা অবশ্যই শাস্তিযোগ্য।
২০১৯ সালে নিম্ন আদালত এই মামলা কেজরীওয়ালকে সমন পাঠিয়ে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। যদিও তিনি হাজিরা এড়িয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। তবে হাই কোর্টও নিম্ন আদালতের নির্দেশ বহাল রাখে। হাই কোর্টে কেজরীওয়াল জানিয়েছিলেন, তাঁর রিটুইট করা বিষয়বস্তু কখনই অভিযোগকারী বা কারও ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে ছিল না। কিন্তু নিম্ন আদালত তা উপলব্ধি করতে পারেনি। যদিও কেজরীর যুক্তি ধোপে টেকেনি হাই কোর্টে।
তার পরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে কেজরীওয়াল জানান, ওই ভিডিয়ো রিটুইট করে তিনি ভুল করেছিলেন। বিচারপতি সঞ্জীব খন্না, বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি আর মহাদেবনের বেঞ্চ নিম্ন আদালতের নির্দেশের উপর অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেছিল। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট কেজরীওয়ালের কাছে জানতে চেয়েছিল, তিনি অভিযোগকারীর কাছে ক্ষমা চাইতে চান কি না।
প্রসঙ্গত, দিল্লির আবগারি মামলায় গত ২১ মার্চ ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন কেজরীওয়াল। তার পর থেকে জেলেই রয়েছেন তিনি। মাঝে লোকসভা নির্বাচনের সময় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অন্তর্বর্তী জামিন পেয়ে কয়েক দিনের জন্য বাইরে এসেছিলেন। গত ২ জুন আবারও আত্মসমর্পণ করেন কেজরী। অন্য দিকে, জামিন চেয়ে নিম্ন আদালত থেকে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক বার আবেদনও করেন তিনি। দিন কয়েক আগে সুপ্রিম কোর্ট ইডির মামলায় কেজরীওয়ালকে জামিন দেয়। তবে জেলে থাকাকালীনই এই মামলাতেই তাঁকে গ্রেফতার করেছিল আর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সিবিআই মামলাতে জামিন চেয়ে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কেজরী। যদিও সেই আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে। এই মামলাতে তিনি সুপ্রিম কোর্টে যাবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy