দুই জনজাতির সংঘর্ষে উত্তপ্ত মণিপুর। — ফাইল চিত্র।
আইনশৃঙ্খলা দেখার দায়িত্ব সুপ্রিম কোর্টের নয়। নির্বাচিত রাজ্য সরকারের। মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে একাধিক পিটিশনের একত্র শুনানিতে সোমবার এই কথাই জানাল সুপ্রিম কোর্ট। রাতভর সংঘর্ষে মণিপুরের পশ্চিম কাঙ্গপোকপি এলাকায় সোমবার মৃত্যু হয়েছে এক পুলিশ কর্মীর। আহত ১০ জন।
গত মে মাস থেকে কুকি এবং মেইতেই জনজাতির সংঘর্ষে উত্তপ্ত মণিপুর। মারা গিয়েছেন প্রায় ১৫০ জন। এই বিষয়ে সু্প্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়ে সু্প্রিম কোর্টে মামলা করেন কুকি জনজাতির প্রতিনিধি প্রবীণ আইনজীবী কলিন গনজালভেস। সোমবার মামলাটি শোনে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পিএস নরসিংহের বেঞ্চ।
গনজালভেস অভিযোগ করেন, মণিপুরে সংঘর্ষে প্ররোচনা রয়েছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারের। সশস্ত্র বাহিনীকে মদত দিয়েছে বিজেপি বলেও তাঁর অভিযোগ। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, ‘‘এই মঞ্চে আমরা এই কাজ করতে পারি না। আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে পারি না। ওটা নির্বাচিত সরকারের কাজ।’’ তিনি এও বলেন, সুপ্রিম কোর্টের কাছে প্রচুর ক্ষমতা থাকলেও তাঁরা সতর্ক। এটা ‘মানবিক সঙ্কট’।
সোমবার মণিপুরের পশ্চিম কাঙ্গপোকপি জেলায় রবিবার রাত থেকে চলেছে গোলাগুলি। ওই জেলার কাঙ্গচুপে গ্রাম লক্ষ্য করে ছুটে এসেছে গুলি। মারা গিয়েছে এক পুলিশ কর্মী। আহত ১০ জন। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে। মণিপুরের জনসংখ্যার ৫৩ শতাংশ মেইতেই। আর কুকি এবং নাগারা হলেন ৪০ শতাংশ। দুই জনগোষ্ঠীর সংঘর্ষেই উত্তপ্ত রাজ্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy