ছবি: সংগৃহীত।
পশ্চিমবঙ্গ-সহ ছয় রাজ্যের জেইই-নিট পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দিল। ফলে নির্ধারিত সূচি অনুযায়ীই চলবে জেইই-মেন ও নিট-ইউজি পরীক্ষা।
এর আগে গত ১৭ অগস্ট সুপ্রিম কোর্ট জেইই-নিট পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি খারিজ করে দিয়ে বলেছিল, পড়ুয়াদের কেরিয়ার অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলা সম্ভব নয়। এই রায় পুনবির্বেচনার আর্জি জানিয়ে ছয় অবিজেপি রাজ্যের ক্যাবিনেট মন্ত্রীরা একযোগে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। আজ বিচারপতি অশোক ভূষণের বেঞ্চ রায়ে বলেছে, ‘আমরা রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি ও সংশ্লিষ্ট নথি খতিয়ে দেখেছি। মামলার কোনও সারবত্তা খুঁজে পাইনি। তাই এই আর্জি খারিজ করে দেওয়া হল।’
রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি বা ‘রিভিউ পিটিশন’ বলে এই মামলার শুনানি প্রকাশ্যে হয়নি। বিচারপতি অশোক ভূষণের বাড়ির চেম্বারে শুনানি হয়। মামলকারীদের অ্যাডভোকেট-অন-রেকর্ড সুনীল ফার্নান্ডেজ জেইই-নিট পরীক্ষার্থীদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করে বলেন, “আমি ক্ষমাপ্রাথী যে ভাল খবর শোনাতে পারলাম না। সবাই নিরাপদে থাকার চেষ্টা করো এবং ভাল ভাবে পরীক্ষা দাও।”
আরও পড়ুন: চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক রাজনাথের, লাদাখে চিন সেনা বাড়াচ্ছে, ভারতও
আরও পড়ুন: মেট্রো চড়তে চাই স্মার্টফোন, ১৪ তারিখ শুরু পরিষেবা
রাজ্যগুলি মিলে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার এই সিদ্ধান্ত হয়েছিল সনিয়া গাঁধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়দের বৈঠকে। পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়, পঞ্জাব এবং মহারাষ্ট্র— এই ছয় রাজ্যের ছ’জন মন্ত্রী সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানান। ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী মলয় ঘটক। কিন্তু শুনানির আগেই মঙ্গলবার থেকে জেইই-মেন পরীক্ষা শুরু হয়ে গিয়েছে। এ দিন সুপ্রিম কোর্টের শুনানি শুরুর আগে তাই পড়ুয়াদের তরফে দাবি ওঠে, জেইই-মেন যেহেতু শুরু হয়ে গিয়েছে, এই পরীক্ষা আর স্থগিতের দরকার নেই। নিট পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হোক। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট তা শোনেনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন বলেন, ‘‘বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীরা একত্রে যে কথা বলেছিলেন, তাতে একটা বিষয় পরিষ্কার— দেশের শাসক বিজেপি পড়ুয়াদের স্বার্থ এবং স্বাস্থ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে।’’
শীর্ষ আদালতের রায়ে কংগ্রেস নেতৃত্ব হতাশা প্রকাশ করলেও আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে মন্তব্য করতে চাননি। কংগ্রেসের অভিযোগ, বিজেপি সরকারের অনড় মনোভাবের জন্যই পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হল না। তাদের ইগোর শিকার হল পড়ুয়ারা।
বিশ্ব শিশু শান্তি পুরস্কার পাওয়া আট বছরের পরিবেশ কর্মী লিসিপ্রিয়া কাঙ্গুজাম এ দিন পরীক্ষা পিছোনোর দাবিতে প্রথমে সংসদের সামনে, তার পরে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্কের সফদরজং রোডের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসে। দিল্লির বাসিন্দা এই মণিপুরি কিশোরীর বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্টের রায়কে সম্মান জানাচ্ছি। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রী নিজের ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে পরীক্ষা দিতে বাধ্য করছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy