সোমবার সকালে দিল্লিতে যমুনা নদীর দৃশ্য। রাজধানীতে ধোঁয়াশার চাদর নিয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধি পরিবেশবিদদের। ছবি: রয়টার্স।
দিল্লির দূষণ পরিস্থিতি নিয়ে আবারও উদ্বেগ প্রকাশ সুপ্রিম কোর্টের। রাজধানীতে বাজি নিষিদ্ধকরণও সেই অর্থে কার্যকর হয়নি বলেই মনে করছে শীর্ষ আদালত। এ বছর বাজি নিষিদ্ধ করতে কী পদক্ষেপ করা হয়েছিল, সে বিষয়ে দিল্লির সরকার এবং দিল্লির পুলিশ কমিশনারের থেকে হলফনামা তলব করেছেন বিচারপতি অভয় ওকা এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহ্। পাশাপাশি আগামী বছরও এই ব্যবস্থা (নিষিদ্ধকরণ) কার্যকর রাখতে কী পদক্ষেপের কথা ভাবা হচ্ছে, তা-ও জানাতে বলা হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে এই হলফনামা জমা দিতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, দিল্লিতে বর্তমানে আপ সরকার রয়েছে। তবে দিল্লি পুলিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে।
এর আগে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, দিল্লির দুই পড়শি রাজ্য পঞ্জাব ও হরিয়ানায় শস্যের গোড়া পোড়ানোর জন্যই বাতাসের গুণগত মান খারাপ হচ্ছে বলে মনে করছে আদালত। সোমবারের শুনানিতেও উঠে আসে শস্যের গোড়া পোড়ানোর প্রসঙ্গ। সংবাদমাধ্যমের একটি প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, দীপাবলির সময়েও শস্যের গোড়া পোড়ানোর ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। সে ক্ষেত্রে পঞ্জাব ও হরিয়ানার সরকারকেও দু’টি পৃথক হলফনামা জমা দিতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। অক্টোবরের শেষ ১০ দিনে শস্যের গোড়া পোড়ানোর ঘটনার বিষয়ে জানাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি দিল্লিতেও ওই সময়ে কোথাও শস্যের গোড়া পোড়ানো হয়েছে কি না, তা-ও জানাতে বলেছে শীর্ষ আদালত।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দীপাবলির সকালে (১ নভেম্বর) দিল্লি বিশ্বের সবথেকে দূষিত শহর ছিল। দিল্লির দূষণ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পরিবেশবিদেরাও। এই আবহেই সোমবার সুপ্রিম কোর্টে দিল্লির দূষণ মামলার শুনানি হল। যদিও শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, এ বারের দূষণ দিল্লির সর্বাধিক দূষণ নয়। তবে গত দু’বছরের তুলনায় দূষণের মাত্রা অনেকটাই বেশি। আগামী ১৪ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy