প্রতীকী ছবি।
স্থলসেনার পরে এ বার নৌসেনার মহিলা অফিসাদেরও স্থায়ী কমিশনের পক্ষে রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত বলেছে, দেশের কাজে নিয়োজিত মহিলাদের এই অধিকার না দিলে তাঁদের সঙ্গে অন্যায় করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের ফলে মহিলা অফিসারেরা অবসর নেওয়ার সময় পর্যন্ত নৌসেনায় কাজে বহাল থাকতে পারবেন। সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য কাজ করতে হবে না তাঁদের। আগামী তিন মাসের মধ্যে এ নিয়ে পদক্ষেপ করার জন্য কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।।
বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ আজ বলেছে, সামরিক বাহিনীতে লিঙ্গবৈষম্য শেষ করার প্রশ্নে ১০১ ধরনের অজুহাত চলতে পারে না। তিন মাসের মধ্যে স্থায়ী কমিশনের সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে হবে। শীর্ষ আদালতে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, শর্ট সার্ভিস কমিশনে (এসএসসি) থাকা নৌসেনার মহিলা অফিসারদের সমুদ্রে যাওয়ার ডিউটি দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ, রাশিয়া থেকে আসা নৌসেনার তরীতে মহিলাদের জন্য আলাদা শৌচাগার নেই। সেই যুক্তি খারিজ করে বিচারপতিরা মন্তব্য করেছেন, পুরুষদের মতো মহিলা অফিসারেরাও সমুদ্র অভিযানে সমান ভাবে দক্ষ। ফলে কোনও বৈষম্য চলবে না। আইনজীবীদের মতে, শীর্ষ আদালতের আজকের রায়ের ফলে নৌসেনার পুরুষ ও মহিলা অফিসারদের সমানাধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। বর্তমানে নৌসেনার মহিলা অফিসারদের নিয়োগ হয় শর্ট সার্ভিস কমিশনে। ১০ বছরের জন্য কাজ করতে পারেন তাঁরা। এই মেয়াদ আরও চার বছর ড়ানো যায়। অর্থাৎ কাজের মেয়াদ কার্যত ১৪ বছরের জন্য। এ বার তা বাড়িয়ে অবসর নেওয়ার সময় পর্যন্ত করার নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy