ছবি: সংগৃহীত।
এত দিন কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা অভিযোগ তুলছিল, প্রধানমন্ত্রীর বন্ধু গৌতম আদানির সংস্থাকে ফায়দা পাইয়ে দিতেই তিন কৃষি আইন আনা হয়েছে। এ বার খোদ বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামীও আদানি গোষ্ঠীকে নিশানা করলেন। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কাছে আদানি গোষ্ঠীর বিপুল অনাদায়ী দেনা রয়েছে বলে দাবি করে স্বামী আজ গৌতম আদানিকে ‘সবথেকে বড় ট্রাপিজ শিল্পী’ বলে কটাক্ষ করেছেন। স্বামীর দাবি, ব্যাঙ্কগুলির প্রায় ৪.৫ লক্ষ কোটি টাকার দেনা শোধ করেননি আদানি। এ দিকে তাঁর সম্পত্তি ২০১৬ থেকে প্রতি দু’বছর অন্তর দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে! প্রয়াত জয়ললিতার মতো অনেকের দুর্নীতি নিয়ে মামলা করার জন্য বিখ্যাত স্বামীর মন্তব্য, ‘এ বার আদানিকে দায়বদ্ধ করার সময় এসে গিয়েছে। অথবা, একটা জনস্বার্থ মামলা অনস্বীকার্য হয়ে উঠেছে।’
শুক্রবারই কৃষি আইনের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে রাহুল গাঁধী অম্বানী-আদানি গোষ্ঠীর নাম করে বলেছেন, মোদী সরকারকে বুঝতে হবে, অম্বানী-আদানিরা দেশের স্বাধীনতা আনেননি। কৃষকেরা এনেছেন। স্বামীর নিশানার পরে আদানি গোষ্ঠী বিবৃতি দিয়ে জানায়, অল্প সময়ে ও কম খরচে বিশ্বমানের পরিকাঠামো প্রকল্প তৈরির ইতিহাস রয়েছে তাদের। এই রকম প্রকল্পে পুঁজির সংস্থানে ঋণের প্রয়োজন পড়েই। কিন্তু নিয়মিত ঋণ শোধ করে যাওয়ার ক্ষেত্রেও সংস্থার রেকর্ড খুবই ভাল।
অর্থ মন্ত্রক ও নীতি আয়োগের আপত্তি সত্ত্বেও আদানি গোষ্ঠীর হাতে দেশের ছ’টি বিমানবন্দর তুলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কেরলের তিরুঅনন্তপুরম বিমানবন্দর আদানি গোষ্ঠীকে দেওয়া নিয়ে সে রাজ্যের বাম সরকার মামলাও করে। এ বার স্বামীর কটাক্ষ, আদানি যে ভাবে দেশের ছ’টি বিমানবন্দর পেয়েছেন, তেমন ভাবে যে সব ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পেয়েছেন, সেগুলিও হয়তো কিনে নেবেন! পাল্টা আদানিদের দাবি, তাদের সংস্থার মোট দীর্ঘমেয়াদি ঋণের মাত্র অর্ধেক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের থেকে নেওয়া। যার পরিমাণ ৩৪ হাজার কোটি টাকা। এবং তা নিয়মিত শোধ করা হয়। স্বামীর বক্তব্য, বহু প্রশ্ন থেকেই আদানি ছাড় পেয়ে যাচ্ছেন। কেউ তাঁকে প্রশ্ন করছেন না। এটা সরকারের জন্য অস্বস্তি হয়ে উঠতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy