প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে বিক্ষোভ। ছবি: পিটিআই।
সিবিএসই-র প্রশ্নফাঁস নিয়ে ধুন্ধমার কাণ্ড। দিল্লির যন্তরমন্তরে ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভ। গোটা দেশে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণিতে নতুন করে সমস্ত বিষয়ে পরীক্ষার দাবি। অবস্থা এখন এরকমই যে শিক্ষাঙ্গণ ছেড়ে বিষয়টি ইতিমধ্যেই পা রেখেছে রাজনীতির ময়দানে। টুইট করে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী কটাক্ষ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। তাঁর বক্তব্য, ‘‘তথ্য ফাঁস। আধার ফাঁস। প্রশ্ন ফাঁস। চৌকিদার দুর্বল, তাই সব কিছু ফাঁস।’’
দুর্বল চৌকিদার বলতে রাহুল যে মোদীর কথাই বুঝিয়েছেন, তা আর আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এখনও দিনক্ষণ ঘোষণা না করা হলেও সিবিএসই জানিয়েছে, ‘‘দশম শ্রেণির অঙ্ক এবং দ্বাদশ শ্রেণির অর্থনীতির পরীক্ষা তারা নতুন করে নেবে।’’ কিন্তু বিভ্রান্তি সেখানেও।
অভিযোগ, প্রশ্নফাঁস হয়েছে দিল্লি ও আশেপাশের এলাকা থেকে। তবে কি শুধুমাত্র সেই এলাকাতেই পরীক্ষা হবে? না কি গোটা ভারতে? বৃ়হস্পতিবারেও এই নিয়ে বিভ্রান্তি কাটানোর মতো কোনও পদক্ষেপ করেনি সিবিএসই। যদিও বৃহস্পতিবার যন্তরমন্তরে জমায়েত করে সিবিএসই-র পড়ুয়াদের দাবি, ‘‘শুধু দু’টি বিষয়ে পরীক্ষা নিলে চলবে না। অন্য বিষয়গুলোর প্রশ্নপত্রও ফাঁস হয়েছে। তাই গোটা পরীক্ষা নতুন করে নিতে হবে।’’
আরও পড়ুন: আধার তথ্য কি সত্যিই ফাঁস হয়ে যাচ্ছে?
আরও পড়ুন: তথ্য ফাঁস নিয়ে ‘বিগ বস’ বনাম ‘ছোটা ভীম’
প্রশ্নফাঁসের বিষয়টি নিয়ে দিল্লি পুলিসের একটা দল ইতিমধ্যই তদন্ত শুরু করেছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে ২৫ জনকে, যাঁদের মধ্যে পড়ুয়ার সংখ্যাই বেশি। প্রাথমিক তদন্তে হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে পড়া প্রশ্নপত্র হাতে পেয়েছে পুলিস। আসল প্রশ্নপত্রের সঙ্গে তার একশো শতাংশ মিল থাকলেও, সেই প্রশ্নপত্র কিন্তু হাতে লেখা। তবে কি ছাপাখানায় যাওয়ার আগেই তা ফাঁস হয়ে গিয়েছিল? কার ফোন খেকেই বা তা ছড়ানো হয়েছিল? এ রকম হরেক প্রশ্নের এখনও উত্তর নেই। তবে জানা দিয়েছে, সিবিএসই-র চেয়ারপার্সনের হোয়াটস অ্যাপেও সেই প্রশ্নপত্র ফরওয়ার্ড করা হয়েছিল। হয়ত বা মজা করার জন্যেই ।
চাপের মুখে প্রশ্নফাঁসের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। বলেছেন, ‘‘হোয়াটসআ্যাপে দুই-তিনটি বিষয়ের প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। পড়ুয়াদের কথা ভেবে রাতে ঘুমাতে পারছি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy