ভোপালের স্কুলে ছাত্রীবিক্ষোভ। ছবি: পিটিআই।
পান থেকে চুন খসলেই কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হয় ছাত্রীদের। কখনও তাঁদের বলা হয় খটখটে রোদে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে, কখনও আবার শাস্তি হিবাসে শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার করানো হয় ছাত্রীদের দিয়েই। মধ্যপ্রদেশের ভোপালের একটি স্কুলে এমনই অভিযোগ উঠেছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। শিক্ষকদের এই ধরনের শাস্তির বিরুদ্ধে ছাত্রীরাই রুখে দাঁড়িয়েছে। তারা স্কুলে ধর্নার ডাক দিয়েছে। বিক্ষুব্ধ ছাত্রীরা স্কুলের পাখা, জানলাও ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ।
ভোপালের সরোজিনি নাইডু উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা। স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ছাত্রীরা সেখানে ধর্নায় বসেছে। অভিযোগ, যে কোনও ছোটখাটো ভুলেও তাদের কঠোর শাস্তি দেন শিক্ষকেরা। জোর করে তাদের দিয়ে স্কুল পরিষ্কার করানো হয়, বারান্দা ঝাঁট দেওয়ানো হয়। ক্লাসে ঢুকতে কোনও ছাত্রী পাঁচ মিনিটও দেরি করলে তাঁকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রোদে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়।
স্কুলের এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে বিশেষ করে ক্ষুব্ধ হয়েছে ছাত্রীরা। মাসখানেক আগে তিনি স্কুলে এসেছেন। ছাত্রীদের সঙ্গে তিনি দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ। ছাত্রীদের বিক্ষোভের মাঝে ওই শিক্ষিকা ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
ছাত্রীদের অভিযোগ অবশ্য মানতে নারাজ স্কুল কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানিয়েছেন, যে ভাবে শাস্তি দেওয়া হয় বলে ছাত্রীরা জানাচ্ছে, আদৌ সে ভাবে তাদের শাস্তি দেওয়া হয় না। তবে স্কুলে নিয়মকানুন নিয়ে যে কড়াকড়ি রয়েছে, তা মেনে নিয়েছেন প্রধান শিক্ষিকা। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ছাত্রীদের নিয়ম মানতে বাধ্য করার জন্য সম্প্রতি স্কুলে এক শিক্ষিকাকে নিয়োগ করা হয়েছে, যিনি আগে সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ছাত্রীদের বিক্ষোভের পর স্কুল কর্তৃপক্ষের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা বৈঠকের মাধ্যমে স্থির করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy