প্রতীকী ছবি।
রাঁধুনি দলিত। তাই তাঁর হাতে রান্না করা মিড ডে মিল খাবে না বলে দিয়েছে গুজরাতের মোরবি জেলার একটি গ্রামীণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। মিড ডে মিল রান্নার বরাত পাওয়া ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে স্কুল পরিদর্শনে আসেন আধিকারিকরা। তাঁদের দাবি, দলিত বলে নয়, বাড়ি থেকে খাবার আনতেই পছন্দ করে পড়ুয়ারা।
গুজরাতের মোরবি জেলার একটি গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়। আর পাঁচটা স্কুলের মতোই সেখানে প্রতিদিন মিড ডে মিল দেওয়া হয়। কিন্তু গরমের ছুটির পর স্কুল খুলতেই ওই স্কুলে মিড ডে মিল খাওয়ার মতো পড়ুয়া পাওয়া যাচ্ছে না। মিড ডে মিলের বরাত পাওয়া ব্যক্তির অভিযোগ, তাঁরা দলিত, তাই তাঁদের হাতের রান্না খেতে চাইছে না পড়ুয়ারা।
গরমের ছুটি শুরুর ক’দিন আগেই ওই স্কুলে মিড ডে মিল রান্নার বরাত পান এক দম্পতি। রান্নার কাজ করেন স্ত্রী, আর খাবার সরবরাহ থেকে পড়ুয়াদের খাবার দেওয়ার কাজ করেন স্বামী। স্বামী বলেন, ‘‘ছুটির পর প্রথম দিন স্কুলের প্রধান শিক্ষক আমার স্ত্রীকে ১০০ জন পড়ুয়ার জন্য রান্না করতে বলেন। কিন্তু সে দিন মাত্র সাত জন পড়ুয়া খেতে আসে। তারা সকলেই তফশিলি জাতিভুক্ত। দ্বিতীয় দিন প্রধান শিক্ষক ৫০ জনের রান্না করতে বলেন। খেতে আসে শুধু কয়েক জন দলিত পড়ুয়া।’’
এই অভিযোগ পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার শিক্ষা ও রাজস্ব দফতর থেকে একটি তদন্তকারী দল আসে গ্রামে। তাঁরা কথা বলেন অভিভাবক ও শিক্ষকদের সঙ্গে। তদন্তকারী দলের দাবি, স্কুলে মোট ১৫৩ জন পড়ুয়া আছে। তার মধ্যে সে দিন ১৩৮ জন উপস্থিত ছিল। দলের এক সদস্য বলেন, ‘‘পড়ুয়ারা নিজেরাই টিফিন আনছে। স্কুলের মিড ডে মিল খাওয়ার পরিবর্তে ওরা বাড়ির খাবারই পছন্দ করছে।’’
সূত্রের খবর, ওই গ্রামটি ওবিসি অধ্যুষিত। তবে পাঁচটি দলিত পরিবারও সেই গ্রামে বাস করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy