বম্বে আইআইটির হোস্টেলের আট তলা থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন এক ছাত্র। ফাইল চিত্র।
আরও এক রোহিত ভেমুলা! বম্বে আইআইটির হস্টেলের আট তলা থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন এক ছাত্র। যদিও কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি। তদন্ত করছে পুলিশ। এর মধ্যেই একটি ছাত্র সংগঠন দাবি করল, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তফশিলি জাতি, জনজাতিরা বৈষম্যের শিকার। সে কারণেই আত্মহত্যা করেছেন ওই ছাত্র।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দর্শন সোলাঙ্কি নামে ওই ছাত্র অমেদাবাদের বাসিন্দা। তিন মাস আগে এই কোর্সে যোগ দেন দর্শন। গত শনিবারই তাঁর প্রথম সেমেস্টার শেষ হয়েছে। পড়াশোনার চাপে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কি না, তদন্ত করে দেখছে পাওয়াই পুলিশ।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টর শুভাশিস চৌধুরী পড়ুয়াদের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছেন, ‘‘আপনাদের দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, সোমবার দুপুরে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। পাওয়াই পুলিশ তদন্ত করছে। ওই ছাত্রের অভিভাবকদের খবর দেওয়া হয়েছে। তাঁরা আসছেন। ওই পড়ুয়ার মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। প্রার্থনা করি, তাঁর পরিবার সব সহ্য করার জন্য শক্তি পাক।’’
বম্বে আইআইটির দলিত পড়ুয়াদের সংগঠন আম্বেডকর পেরিয়ার ফুলে স্টাডি সার্কল টুইটারে লিখেছে, ‘’১৮ বছরের দলিত পড়ুয়া দর্শন সোলাঙ্কির মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। আমাদের বুঝতে হবে, এটা ব্যক্তিগত বিষয় নয়, প্রাতিষ্ঠানিক খুন।’’ অন্য একটি টুইটে ওই সংগঠনের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, আইআইটি কর্তৃপক্ষকে বার বার অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও দলিত পড়ুয়াদের জন্য তাঁরা কোনও বিশেষ ব্যবস্থা নেননি। প্রথম বর্ষের পড়ুয়ারা সব থেকে বেশি হেনস্থার শিকার হন। তাঁদের ‘অযোগ্য’ বলে হেনস্থা করা হয়। সংরক্ষণের বিরোধিতা করে জিগির তোলা হয়। যদিও এই নিয়ে কর্তৃপক্ষ উদাসীন বলেই অভিযোগ ওই সংগঠনের।
২০১৬ সালে হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন রোহিত ভেমুলা। অভিযোগ উঠেছিল, জাতি বৈষম্যের শিকার হয়েই চরম পথ বেছেছিলেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy