—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
নয়াদিল্লি, ২৯ ডিসেম্বর: মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনের মতো দিল্লিতেও বিজেপি ‘অপারেশন লোটাস’ চালু করেছে। ভোটার তালিকা থেকে বেছে বেছে ভোটদাতাদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে বলে আজ সরব হলেন আম আদমি পার্টির জাতীয় আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরীওয়াল।
শুধু তিনিই নন, রাজ্যসভার আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংহের অভিযোগ, তাঁর স্ত্রীর নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য দু’বার নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন জানিয়েছে বিজেপি। পাল্টা বিজেপির অভিযোগ, কেজরীওয়ালের দল বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করিয়েছে। এরই মধ্যে আজ দিল্লির বিভিন্ন মহল্লায় অভিযান চালিয়ে আট জন সন্দেহভাজন বাংলাদেশিকে আটক করেছে
দিল্লি পুলিশ।
মহারাষ্ট্রেও বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। বিরোধীদের মতে, ওই রাজ্যে এনডিএ-র জেতার পিছনে অন্যতম কারণ ছিল তাদের (বিরোধী) সমর্থকদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া। দিল্লিতেও সেই কাজ শুরু হয়েছে বলে আজ সাংবাদিক বৈঠকে কেজরীর দাবি, ‘‘দিল্লির অন্যান্য অংশে আগেই হয়েছে, এ বার আমার নয়াদিল্লি কেন্দ্রে অপারেশন লোটাস শুরু হয়েছে। আমার কেন্দ্রে প্রায় পাঁচ হাজার ভোটারের নাম কাটার আবেদন করা হয়েছে, আর নতুন নাম তোলার আবেদন জমা পড়েছে সাড়ে সাত হাজার। যাদের অধিকাংশই ভুয়ো। এর ফলে ওই বিধানসভার মোট ১২ শতাংশ ভোট প্রভাবিত হয়েছে।’’ কেজরীওয়ালের পাশাপাশি, সাংসদ সঞ্জয় বলেন, ‘‘আমার স্ত্রী অনিতা সিংহের নাম নয়াদিল্লি কেন্দ্র থেকে বাদ দেওয়ার জন্য ২৪ ও ২৬ ডিসেম্বর দু’দফায় আবেদন জানানো হয়েছে।’’ আপ নেতৃত্বের দাবি, তাঁদের সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইয়ে হার নিশ্চিত জেনেই এ ভাবে ঘুরপথে ভোটার তালিকায় কারচুপি করে জেতার কৌশল নিয়েছে বিজেপি।
প্রত্যাশিত ভাবেই বিজেপি আপ নেতৃত্বের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। দলের নেতা মনজিন্দর সিরসা বলেন, ‘‘আপ নেতৃত্ব বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছিল। সেই নামগুলি তালিকা থেকে বাদ যাওয়ায় কেজরীওয়ালের দল সমস্যায় পড়েছে।’’
বিষয়টি নিয়ে দিল্লি নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করার কাজ চলছে। গত ২৯ অক্টোবর দিল্লির ভোটারদের খসড়া তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল। তালিকায় ভুলভ্রান্তি ঠিক করার জন্য এক মাস সময় দেওয়া হয়। সংশোধন সংক্রান্ত যে আবেদনগুলি জমা পড়েছিল, সেগুলি গত ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে মিটিয়ে ফেলা হয়।
আগামী ১ জানুয়ারি পর্যন্ত নাম তোলা বা নাম বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া জারি থাকবে। এর পরে চূড়ান্ত তলিকা ৬ জানুয়ারি প্রকাশিত হবে। সূত্রের মতে, সম্ভবত তার পরেই দিল্লিতে ভোট ঘোষণা করবে কমিশন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy