বাঁ দিক থেকে সুশীল মোদী, নীতীশ কুমার। — ফাইল চিত্র।
এর আগে যখন বিজেপির হাত ধরে ক্ষমতায় ছিলেন, তখন সুশীল মোদী ছিলেন তাঁর ‘ডেপুটি’। সূত্র বলছে, জোটবদলের পর আবার সুশীলকেই উপমুখ্যমন্ত্রী পদে চেয়েছিলেন নীতীশ। এই নিয়ে নাকি বিজেপির শীর্ষনেতৃত্বের সঙ্গে একপ্রস্থ কথাবার্তাও হয়েছিল। কিন্তু শীর্ষ নেতৃত্বের তাতে সায় নেই। বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী পদে দু’জনের নাম ভেসে আসছে। সূত্র বলছে, বিহার বিজেপি প্রধান সম্রাট চৌধুরী এবং বিহার বিধানসভার বিরোধী নেতা বিজয় সিংহ হতে পারেন উপমুখ্যমন্ত্রী। এই দু’জনকেই এগিয়ে রাখছেন শীর্ষনেতৃত্ব।
রবিবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ফেলেছেন নীতীশ। ‘মহাগঠবন্ধন’ ছেড়ে আবার বিজেপির হাত ধরতে চলেছেন। আর সেই সঙ্গেই লালুপ্রসাদ যাদবের দল রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)-র বিধায়কদের রাজ্যের মন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দিচ্ছেন নীতীশ। এখন উপমুখ্যমন্ত্রী পদে রয়েছেন লালুর ছেলে তেজস্বী। তাঁকেও স্বাভাবিক ভাবেই সরে যেতে হচ্ছে। সেই পদেই নাকি সুশীলকে বসানোর তোরজোর করছেন নীতীশ। একটি সূত্র বলছে, এনডিএর সঙ্গে ফের জোট গড়ার বিষয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলেছেন নীতীশ। তাঁদের কাছে নাকি সুশীলকে চেয়ে ইতিমধ্যে দরবারও করেছেন। যদিও সূত্রের খবর, শেষ পর্যন্ত শীর্ষ নেতৃত্ব নীতীশের দাবি মানছেন না।
নীতীশের দাবি নিয়ে সুশীল কী জানিয়েছেন, তা অবশ্য জানা যায়নি। তবে যখন এর আগে সুশীল বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন তিনি ‘নীতীশ-ঘনিষ্ঠ’ বলেই পরিচিত ছিলেন। প্রায়ই মুখ্যমন্ত্রী নীতীশের হয়ে ব্যাটন ধরতেন তিনি। বিভিন্ন বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে সমর্থন করতেন। অতীতে পটনায় ডেঙ্গি নিয়ে বিরোধীরা যখন মুখ্যমন্ত্রীর দিকে আঙুল তুলেছিলেন, তখনও পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বিজেপির সুশীল। সেই নিয়ে বিরোধীদের তোপের মুখেও পড়েছিলেন বার বার। নীতীশ মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় তিন বার উপমুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন সুশীল। এমনকি নীতীশ এনডিএ ছেড়ে ‘মহাগঠবন্ধন’-এর হাত ধরলেও দু’জনের সম্পর্কে চিড় ধরেনি।
একটি সূত্র বলছে, জোট বদলের পর বিহারের মন্ত্রিপদ থেকে আরজেডি বিধায়কদের সরিয়ে বিজেপি বিধায়কদের বসাতে চলেছেন নীতীশ। কাদের কাদের মন্ত্রিপদ দেবেন, ইতিমধ্যে ভাবনাচিন্তাও সেরে ফেলেছেন। শুধু তা-ই নয়, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এবং জেডিইউ ক’টি আসনে লড়বে, সেই নিয়েও নাকি বিজেপি শীর্ষনেতৃত্বের সঙ্গে কথাবার্তা সেরে ফেলেছেন। ‘মহাগঠবন্ধন’-এ যে আর কিছুতেই ফিরছেন না, তা একপ্রকার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। সে কারণেই নাকি শনিবার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের ফোনও ধরেননি তিনি। এই দাবি করেছেন কংগ্রেস মুখপাত্র জয়রাম রমেশ।
২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১২২ বিধায়কের সমর্থন। আরজেডির রয়েছে ৭৯ জন বিধায়ক। এ ছাড়া, কংগ্রেসের ১৯, সিপিআইএমএল লিবারেশনের ১২, সিপিএমের ২, সিপিআইয়ের ২ এবং ১ নির্দল বিধায়ক রয়েছেন বিজেপি বিরোধী মহাজোটে। অর্থাৎ, ১১৫ বিধায়কের সমর্থন পেতে পারেন লালুরা। এ ছাড়া হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েসির ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’ (মিম)-এর এক জন বিধায়কও প্রয়োজনে ‘মহাগঠবন্ধন’কে সমর্থন করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে জিতনের চার বিধায়ককে পাশে পেলে ১২০-তে পৌঁছে যাবে বিজেপি-বিরোধী জোট। লালুদের প্রয়োজন হবে আর মাত্র দুই বিধায়কের সমর্থন। অন্য দিকে, দ্বিতীয় বৃহত্তম দল বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ৭৮। নীতীশের ৪৫। অর্থাৎ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ব্যবধান সামান্যই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy