সংসদের বাইরে সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ করছেন সনিয়া। ছবি: এপি।
মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ফের কাছাকাছি এনে দিল বিরোধীদের। ওই রাজ্যে ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগের পাশাপাশি রাতারাতি রাষ্ট্রপতি শাসন প্রত্যাহার এবং সরকার গঠন— সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর প্রতিবাদে মঙ্গলবার সংবিধান দিবসে একজোটে সংসদের যৌথ অধিবেশন বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি বিরোধী সব দল।
বিক্ষোভ চলল সংসদভবনের বাইরেও। সনিয়া গাঁধীর নেতৃত্বে সেখানে বিক্ষোভে শামিল হল শিবসেনা-সহ একাধিক বিরোধী দল।
এ দিন পঞ্চম সংবিধান দিবস পালিত হচ্ছে গোটা দেশ জুড়ে। আগে যদিও এই দিনটি আইন দিবস হিসাবে পালিত হত। কিন্তু ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর এই দিনটিকে সংবিধান দিবস হিসাবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয় মোদী সরকার। সেই উপলক্ষে সংসদের যৌথ অধিবেশনে বক্তৃতা করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে সংবিধান প্রণেতাদের মধ্যে অন্যতম বিআর অম্বেডকরকে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘বেঁচে থাকলে আজ সবচেয়ে বেশি খুশি হতেন অম্বেডকর।’’
আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে কালই আস্থাভোট, গোপন ব্যালট নয়, হবে সরাসরি সম্প্রচার, রায় সুপ্রিম কোর্টের
তাঁর এই বক্তৃতা চলাকালীনই সনিয়া গাঁধীর নেতৃত্বে সংসদভবন চত্বরে অম্বেডকরের মূর্তির কাছে হাতে ‘গণতন্ত্রের হত্যা বন্ধ হোক’ ব্যানার নিয়ে জড়ো হন কংগ্রেস, শিবসেনা-সহ একাধিক বিরোধী দলের নেতারা। মহারাষ্ট্রে সংবিধান লঙ্ঘন, রাতারাতি রাষ্ট্রপতি শাসন প্রত্যাহার এবং বিজেপির নেতৃত্বে সরকার গঠন নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: আস্থাভোটের কৌশল ঠিক করতে মুম্বইয়ে রাত ৯টায় বিজেপি বিধায়কদের বৈঠক
দলনেত্রী সনিয়া গাঁধী, রাহুল গাঁধী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ-সহ একাধিক কংগ্রেস নেতা ওই বিক্ষোভে যোগ দেন। বিক্ষোভে শামিল হন শিবসেনার অনিল দেশাই, অরবিন্দ স্বামী-সহ অন্যরাও। মহারাষ্ট্রের গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন তাঁরা। সেখানে সংবিধানের প্রস্তাবনাও পাঠ করেন সানিয়া গাঁধী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy