প্রয়াত কর্পূরী ঠাকুর। — ফাইল চিত্র।
জন্মদিনের ঠিক এক দিন আগে বিহারের প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কর্পূরী ঠাকুরকে মরণোত্তর ভারতরত্ন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। মঙ্গলবার প্রথা মেনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর দফতর থেকে সরকারি ভাবে এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
লোকসভা ভোটের আগে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা মাফিক মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলির জোট ‘ইন্ডিয়া’ যখন ক্রমশ সংঘবদ্ধ হচ্ছে, ঠিক সেই সময় অনগ্রসর শ্রেণির সংরক্ষণের রূপকার, সোশ্যালিস্ট (সমাজবাদী) নেতা কর্পূরীকে ভারতরত্ন সম্মাননা প্রদান বিজেপির পক্ষে কার্যকরী হতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের অনুমান।
ঘটনাচক্রে, ‘ইন্ডিয়া’র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার আবার বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএতে ফিরতে পারেন বলে জল্পনা শুরু হয়েছে। জয়প্রকাশ নারায়ণের মতোই কর্পূরীও জেডিইউ প্রধানের অন্যতম রাজনৈতিক পথপ্রদর্শক। প্রসঙ্গত, ১৯৭০-৭১ এবং ১৭৭৭-৭৯ দু’দফায় বিহারে কংগ্রেস বিরোধী জোটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন কর্পূরী। ১৯৭৮ সালে জনতা পার্টির সরকারের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তিনিই প্রথম বিহারে অনগ্রসর শ্রেণির (ওবিসি) জন্য সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। জনতা জমানাতেই গঠিত হয়েছিল মণ্ডল কমিশন। যাকে হাতিয়ার করে রাজনৈতিক উত্থান লালুপ্রসাদ, নীতীশ, মুলায়ম সিংহ যাদবদের। এ বার সেই অনগ্রসর ভোটব্যাঙ্কই কি লক্ষ্য মোদীর?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy