সনিয়া গাঁধী-স্মৃতি ইরানি। ফাইল চিত্র ।
সনিয়া গাঁধী এবং স্মৃতি ইরানিকে নিয়ে বিতর্ক নয়া মাত্রা পেল কংগ্রেসের দাবিতে। কংগ্রেসের দাবি, সনিয়ার সঙ্গে ‘অভব্য’ আচরণ করেছেন কেন্দ্রীয় মহিলা এবং শিশু কল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি। পাশাপাশি সনিয়ার প্রতি স্মৃতি ‘অপমানজনক’ ভাষার প্রয়োগ করেছেন বলেও কংগ্রেসের সাংসদ জয়রাম রমেশ জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, স্মৃতি কংগ্রেস সভানেত্রীকে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘‘আপনি জানেন না আমি কে!’’ এর পরই নাকি রেগে যান সনিয়া।
জয়রাম জানান, সনিয়া বিজেপি সাংসদ রমা দেবীর সঙ্গে কথা বলছিলেন। তখনই সনিয়ার কাছে এসে অত্যন্ত ‘অপমানসূচক ভাষায়’ গালিগালাজ করতে শুরু করেন স্মৃতি। তখন সনিয়া তাঁকে বিনয়ের সঙ্গে বলেন, ‘‘আমি আপনার সাথে কথা বলছি না, আমি অন্য এক সাংসদের সঙ্গে কথা বলছি।’’ এর পরই স্মৃতি চিৎকার করে বলেন, ‘‘আপনি জানেন না আমি কে!’’ অন্যান্য অনেক দলের সাংসদ এই ঘটনার সাক্ষী বলেও জয়রামের দাবি।
কংগ্রেসের তরফ থেকে আরও দাবি করা হয়েছে যে, কংগ্রেস সভানেত্রীকে অপমান করার পাশাপাশি তাঁর দিকে আঙুল তুলে চিৎকার করেন স্মৃতি বলেন, ‘‘আপনার সাহস হল কী ভাবে? এ রকম আচরণ করবেন না। এটা আপনার পার্টি অফিস নয়।’’ এর পরই তাঁদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় শুরু হয়। তবে এ নিয়ে বহু বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। দুই দলের তরফে নেত্রীদের ভাবমূর্তি বাঁচাতে একাধিক দাবিও করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে ‘রাষ্ট্রপত্নী’ বলে উল্লেখ করার পর উত্তাল হয়ে ওঠে লোকসভা। অধীর এবং সনিয়ার বিরুদ্ধে লোকসভায় প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপি সাংসদরা। স্মৃতি দাবি করেন, অধীর এবং সনিয়াকে ক্ষমা চাইতে হবে।
সনিয়াকে উদ্দেশ করে অমেঠীর সাংসদ অভিযোগ করেন, ‘‘দ্রৌপদী মুর্মুর অপমানে আপনি সম্মতি দিয়েছেন। সংবিধানের সর্বোচ্চ পদে রয়েছেন এক জন মহিলা, তাঁর অপমানে সায় দিয়েছেন সনিয়াজি।’’
এর পরেই লোকসভার অধিবেশন স্থগিত হওয়ার পর বিজেপি সাংসদ রমা দেবীর সঙ্গে কথা বলতে যান সনিয়া। সেখানে স্মৃতি এসে উপস্থিত হওয়ার পরই সনিয়া-স্মৃতির বাদানুবাদ শুরু হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy